অস্ট্রেলিয়ান একজন হিসেবে তো বটেই, মন্তব্যটি আরও বিস্ময়কর ওয়েডের কাছ থেকে এসেছে বলেও। স্লেজিংয়ে বরাবরই তিনি অগ্রনী, মাঠে কথার তুবড়ি শোনান। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন কোহলির দল, বাস্তবতা বুঝতে পারছেন ওয়েডও।
মাঠে কোহলির যে আগ্রাসন ও শরীরী ভাষা, সেটি ছড়িয়ে পড়েছে যেন তার দলেও। একসময় মানসিকভাবে অনেক পিছিয়ে থাকা ভারত এখন মাঠে দাপট দেখায় মনস্তাত্ত্বিক খেলায়ও। আগ্রাসী ক্রিকেটের পাশাপাশি তারা পটু হয়ে উঠেছে কথা দিয়ে প্রতিপক্ষের মানসিকতা নড়বড়ে করে দিতে।
চলতি বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের। সেই সিরিজে দৃষ্টি রেখে ওয়েড সংবাদমাধ্যমে জানালেন, কথার লড়াইয়ের বাড়তি সুবিধা দিতে চান না কোহলিদের।
“ আমি মাঠে নেমে সেভাবেই খেলব, যেভাবে খেলতে ভালো লাগে। তবে আমরা কথার লড়াইয়ে জড়াব না। যদি সেটা আমাদের দিকে ছুটেই আসে, তাহলে তো মাঠে বোঝাপড়া করতেই হবে।”
“ বিরাট খুব চতুরতার সঙ্গে কথা ও শরীরী ভাষা ব্যবহার করে। এটিকে এখন ওরা বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজে লাগায়। সত্যি কথা বলতে, আমি এতে খুব একটা জড়াতে চাই না। আমি জানি, ওদের শক্তির উৎস দুজন ক্রিকেটার। এই জায়গাটায় এখন তারা সম্ভবত বিশ্বের যে কোনো দলের মতোই ভালো। এবার আমি এটি থেকে দূরে থাকতে চাই।”
অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ সফরে (২০১৮-১৯) আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছিল ভারত।