পাকিস্তান ক্রিকেটে আবার মিসবাহ-ইউনিস জুটি

২২ গজে দুজনের জুটি পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের সফলতম। এবার মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খান মাঠের বাইরে জুটি বাঁধছেন দলকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে। পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে প্রধান কোচ মিসবাহর সঙ্গে ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করবেন ইউনিস। এই সফরে স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন আরেক কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2020, 09:55 AM
Updated : 9 June 2020, 09:55 AM

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার পিসিবি নতুন এই দুই নিয়োগের কথা জানায়। সব মিলিয়ে দলের ক্রিকেটারদের চেয়ে কোচিং স্টাফেই তারকার সংখ্যা বেশি বলা যায়। মিসবাহ-ইউনিস-মুশতাকের সঙ্গে নিয়মিত বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস তো আছেনই।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সফর যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই নিয়োগের পর সফর নিশ্চিত ধরে নেওয়াই যায়। অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের এই সিরিজে তিনটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা দুই দলের। আগামী মাসে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ দিয়ে করোনাভাইরাস বিরতির পর আবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

২০১৭ সালে একই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মিসবাহ ও ইউনিস। খেলা ছাড়ার পরই কোচ হিসেবে তরতর করে এগিয়ে গেছেন মিসবাহ। এখন তিনি একইসঙ্গে প্রধান নির্বাচক ও প্রধান কোচ। তবে ইউনিস কোচ হিসেবে এই প্রথমবার কাজ করবেন পিসিবির সঙ্গে। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আগেও কয়েক দফায় বোর্ড কথা বলেছে একাডেমির দায়িত্ব নিয়ে, তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি কোনোবার।

টেস্টে ১০ হাজার রান করা একমাত্র পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইউনিস। তার ৩৪ সেঞ্চুরির রেকর্ডের কাছাকাছিও নেই কেউ (দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইনজামামের সেঞ্চুরি ২৫টি)। খেলোয়াড়ি জীবনে বরাবরই দল অন্তঃপ্রাণ বলে পরিচিত ইউনিস নতুন দায়িত্ব নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত।

“দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার চেয়ে বড় সম্মান ও ভালো অনুভূতি আমার কাছে আর নেই। ইংল্যান্ডের মতো দারুণ চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু রোমাঞ্চকর সফরে আমাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি।”

“এই পাকিস্তান দলে বেশ কিছু তুমুল প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে, যাদের সম্ভাবনা আছে আরও উচ্চতায় নিজেদের তুলে নেওয়ার। মিসবাহ, মুশতাক ও ওয়াকারের সঙ্গে মিলে আমরা চেষ্টা করব কোচিং ও নির্দেশনা দিয়ে ওদেরকে আরও ভালো করে তুলতে এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুত করে তুলতে।”

ইংল্যান্ড সফর বরাবরই উপমহাদেশের দেশগুলির জন্য চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু ইউনিস বেশ সফল ছিলেন সেখানে। ইংল্যান্ডে ৯ টেস্ট খেলে তার ব্যাটিং গড় ৫০.৬২। নিজের অভিজ্ঞতাই পরবর্তী প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে চান ৪২ বছর বয়সী সাবেক অধিনায়ক।

“আমরা সবাই জানি, ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে সুনির্দিষ্ট টেকনিক তো লাগেই, পাশাপাশি ধৈর্য ও শৃঙ্খলাও জরুরি। এসব আয়ত্ত করতে পারলে শুধু ইংল্যান্ড নয়, সব জায়গায় ভালো করা সম্ভব। আমাদের দলে যেসব মানসম্পন্ন ক্রিকেটার আছেন, ভালো প্রস্তুতি নিলে ও প্রক্রিয়া ঠিক রাখলে আমরা ভালো ফল করতে পারি বলেই আমার ধারণা।”

মুশতাক এর আগেও পাকিস্তানের স্পিন কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও স্পিন কোচ ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে, আইপিএলে। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনেও তার আছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। টেস্টে ইংল্যান্ডে তার রেকর্ড বেশ ভালো (৮ টেস্টে ৩২ উইকেট)। সাসেক্স ও সমারসেটের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়েছেন প্রায় ৮০০ উইকেট। ছিলেন কাউন্টি দল সারের স্পিন কোচও।