করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বলে লালার ব্যবহার বন্ধ করার সুপারিশ করেছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে যে নিদের্শনাগুলো দিয়েছে আইসিসি, সেখানেও বলা হয়েছে এটি বন্ধ করার কথা।
কিন্তু বল সুইং করাতে লালার ব্যবহার ক্রিকেটে চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। লালা ব্যবহার না করলে সুইং আদায় করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে পেসারদের জন্য। ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য তখন হয়ে উঠতে পারে একতরফা।
আইসিসি ক্রিকেট কমিটি এই সম্ভাব্য একতরফা আধিপত্য কমাতে স্পোর্টিং উইকেট আরও বেশি বানানোর পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু এই পরামর্শ গত কয়েক বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা দিয়ে আসছেন, বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট প্রশাসকরা সেটির বাস্তবায়ন করেছেন সামান্যই। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই দেখা যায় বেশি।
এটি নিয়েই কিছুদিন আগে নিজের দুর্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স। এবার সেরাদের আরেকজন, স্টার্কের কণ্ঠেও শোনা গেল শঙ্কার উচ্চারণ। একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার বলেছেন, পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের নিয়েও ভাবনার অবকাশ আছে।
“গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় আমরা বেশ নিষ্প্রাণ কিছু উইকেট দেখেছি। আর বল যদি সোজাসুজিই যায় (সুইং না করে), তাহলে লড়াই খুব একঘেয়ে আর বিরক্তিকর হয়ে উঠবে। কুকাবুরা (ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান) সম্ভবত বল উজ্জ্বল করার জন্য মোম বা এই জাতীয় কিছু বের করার চেষ্টা করছে। সেটা বিবেচনায় আছে কিনা, জানি না।”
“তবে লড়াইটা যেন সমানতালে হয়, সেটি নিশ্চিত করায় আরও ভাবতে হবে। সাধারণত স্পিনাররা মনে করে, যে উইকেটে বল সিম করে, সেখানে স্পিনও কিছুটা করে। তো বোলারদের খেলায় ধরে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করা উচিত।”
স্টার্ক নিজে অবশ্য লালার চেয়ে বলে বেশি ব্যবহার করেন ঘাম। কিন্তু সামগ্রিক চিন্তাটাই তাকে ভাবাচ্ছে বেশি।
“উইকেটগুলো যেন নিষ্প্রাণ না হয়, বা বল উজ্জ্বল করার জন্য কৃত্রিম কিছু ব্যবহার করা যায় কিনা, এসব নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। বোলাররা ঘাম ও লালা, দুটিই ব্যবহার করে থাকে। আমি ঘামের ব্যবহারই বেশি করি, হাত খুব বেশি মুখে যায় না আমার। কিন্তু প্যাট কামিন্স গত সপ্তাহে যা বলেছে, আমি পুরোপুরি একমত যে ব্যাট ও বলের সমতা রাখতে হবে। এটির সঙ্গে আপোস চলবে না। বল যাতে সুইং করানো যায়, সেটির কোনো পথ রাখতে হবে।”