ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জেতায় বড় অবদান ছিল ২৯ বছর বয়সী রয়ের। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে চার ম্যাচে খেলতে না পারা বিস্ফোরক এই ওপেনার ৭ ইনিংসে ৬৩.২৮ গড়ে করেন ৪৪৩ রান।
বিশ্বকাপের পরপরই ডাক পান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলে। লর্ডসে অভিষেক ইনিংসে ওপেনিংয়ে নেমে ফেরেন দ্রুত। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনে নেমে করেন ৭২ রান।
পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে অবশ্য ভালো করতে পারেননি। প্রথম চার টেস্টে ১৩.৭৫ গড়ে করেন ১১০ রান। টপ ও মিডল অর্ডারের বিভিন্ন পজিশনে খেলানো হলেও মেলেনি সাফল্য। সব মিলিয়ে নিজের ১০ ইনিংসে করতে পেরেছেন কেবল ১৮৭ রান।
এরপর জায়গা পাননি নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট দলে। ছিলেন না করোনাভাইরাসের কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্থগিত হয়ে যাওয়া টেস্ট সিরিজের দলেও। রয় জানান, আরও বেশি পরিশ্রম করে ফিরতে চান এই সংস্করণে।
“এত দ্রুত আমার কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেট সরিয়ে নিয়ে যাওয়াটা ছিল কষ্টকর। নিজেকে প্রমাণ করতে এবং দলে ফিরতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।”
তিন সংস্করণের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটকেই সেরা মনে করেন রয়। এই সংস্করণে নিজেকে প্রমাণের তাগিদ ভালোভাবেই অনুভব করছেন নিজের মাঝে। চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন টেস্টে স্থায়ী হওয়ার।
“সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক রান করার পর টেস্টে সেটির পুনরাবৃত্তি করতে না পেরে খারাপ লেগেছিল আমার। কারণ আমি সত্যিই ভেবেছিলাম যে, আমি পারব।”
“এখনও মনে হচ্ছে আমি পারব। তবে নিজের জায়গার জন্য আমাকে আবার লড়াই করতে হবে। দলে ফিরে আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আমি আসলে রান করতে পারি। অবশ্যই আমার খেলার ক্ষুধা রয়েছে।”