১৯৯৫ সালে ঘরের মাঠের সিরিজে শেন ওয়ার্ন, টিম মে ও মার্ক ওয়াহকে বাজে পারফরম্যান্স করতে প্রলোভন দেখান মালিক। পরে অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর ২০০০ সালে দোষ প্রমাণিত হলে আজীবন নিষিদ্ধ হন মালিক। ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় এই ঘটনা।
পাকিস্তানের একটি আদালত ২০০৮ সালে মালিকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও পিসিবি ও আইসিসি এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।
এরপরও ২০০৮ সালে পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ এবং চার বছর পর জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের জন্য আবেদন করেন মালিক। কোনোবারই তাকে বিবেচনা করেনি পিসিবি।
একটি ভিডিও বার্তায় ৫৭ বছর বয়সী মালিক জানান, দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও কোনো সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
“আমি কোচ হয়ে দেশ ও খেলোয়াড়দের জন্য কাজ করতে চাচ্ছি। যখনই আমি কোচ হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি, আমাকে বিবেচনায় করা হয়নি।”
ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ক্রিকেটারদের পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফেরা নতুন কিছু নয়। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত দেশের হয়ে ১০৩ টেস্ট ও ২৮৩ ওয়ানডে খেলা মালিকের অনুযোগ, পাকিস্তানে সুযোগ মেলেনি কেবল তার। আর সবার মতো তিনিও দ্বিতীয় একটি সুযোগ চান।
“মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও শারজিল খান ঠিকই খেলছে, কিন্তু আমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।”