সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাধায় পড়া উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান করে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ ওভারে ৯৮। থামকে যায় তারা ৯২ রানে।
সপ্তম আসরে পঞ্চম শিরোপার দৌড়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্নে রোববার ফাইনাল খেলবে ভারতের বিপক্ষে। সিডনিতেই বৃষ্টির কারণে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম সেমি-ফাইনাল পরিত্যক্ত হলে গ্রুপ সেরা হওয়ায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে হারমানপ্রিত কাউরের দল।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচও বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা ছিল।খেলা শুরু হয় দেরিতে। তবে বৃষ্টি হানা দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের আগে বৃষ্টি নামলে ঠিক হয় নতুন লক্ষ্য।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত গড়ে দেন পেসার ম্যাগান শুট। ৩ ওভারে দুই উইকেট নেন ১৭ রান দিয়ে। আঁটসাঁট বোলিংয়ে অবদান রেখেছেন ডেলিসা কিমিন্স।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন লরা উলভার্ট। তিনি খেলেছেন ২১ বলে ৪১ রানের ইনিংস। কিন্তু দলকে তুলতে পারেননি প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে।
রান তাড়ায় সুনে লিস খেলেন ২২ বলে ২১ রানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারও গিয়েছিলেন দুই অঙ্কে, কিন্তু বড় করতে পারেননি ইনিংস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডানহাতি ব্যাটার।
ওপেনার বেথ মুনি করেন ২৪ বলে ৪ চারে ২৮ রান। অ্যালিসা হিলি ১৩ বলে ৪ চারে ১৮ রান করে আউট হয়েছেন পাওয়ার প্লেতেই।
৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেওয়া নাদিনে ডি ক্লের্ক দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১৩৪/৫ (হিলি ১৮, মুনি ২৮, ল্যানিং ৪৯*, জোনাসেন ১, গার্ডনার ০, হেইন্স ১৭, কেয়ারি ৭*; সাবনিম ৪-০-২০-০, খাকা ৪-০-২৯-১, মেলাবা ৩-০-১৮-১, নেইকার্ক ২-০-২০-০, ক্লের্ক ৪-০-১৯-৩, ট্রায়ন ৩-০-২০-০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৩ ওভারে ৯২\৫ (লি ১০, নেইকের্ক ১২, লুস ২১, প্রেজ ০, উলভার্ট ৪১*, ট্রায়ন ১, ক্লের্ক ৬*; শুট ৩-০-১৭-২, জোনাসেন ৩-০-২৮-১, মলিনউক্স ২-০-১৬-১, কিমিন্স ৩-০-১৬-১, কেয়ারি ২-০-১৫-০)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ রানে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: মেগ ল্যানিং