রাওয়ালপিন্ডিতে ব্যাটসম্যানদের সুযোগ হাতছাড়ার মহড়া

টস হেরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ব্যাট করছে বাংলাদেশ। চলছে তৃতীয় সেশনের খেলা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2020, 04:34 AM
Updated : 7 Feb 2020, 12:32 PM

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩

আলোক স্বল্পতায় আগেই শেষ দিনের খেলা

শেষ বেলায় পাকিস্তানের এক-দুটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ পেল না বাংলাদেশ। যথেষ্ট আলো না থাকায় আগেভাগেই দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন দুই আম্পায়ার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ (তামিম ৩, সাইফ ০, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিঠুন ৬৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ২৪, রুবেল ১, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ২১.৫-৩-৫৩-৪, আব্বাস ১৭-৯-১৯-২, নাসিম ১৬-০-৬১-১, ইয়াসির ২২-২-৮৩-০, হারিস ৬-২-১১-২)

২৩৩ রানে শেষ বাংলাদেশ

শিশুতোষ এক রান আউটে শেষ হলো বাংলাদেশের হতাশার ইনিংস। শাহিন শাহ আফ্রিদির বল লেগে ঘুরিয়ে ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। ব্যাট লাইনের ভেতরে প্লেস না করে করেন বাইরে। মোহাম্মদ আব্বাসের সরাসরি থ্রো বেলস ফেলে দেওয়ার পর বুঝতে পারেন কি হয়েছে, তখন আর ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই। শূন্য রানে ফিরেন আবু জায়েদ। 

৮২ ওভার ৫ বলে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। 

পাকিস্তানের তৃতীয় সফল রিভিউয়ে বিদায় মিঠুন

তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের পর আরেকটি সফল রিভিউয়ে মোহাম্মদ মিঠুনকে ফেরাল পাকিস্তান।

নাসিম শাহর তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢোকা বল মিঠুনের গ্লাভস ছুঁয়ে প্যাডে লেগে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলার পরও আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় পাকিস্তান।

হটস্পটে মিঠুনের গ্লাভসে বল স্পর্শের প্রমাণ পাওয়ার পর পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ১৪০ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৬৩ রান করে ফিরেন মিঠুন।

৮২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৩/৯। ক্রিজে আবু জায়েদ চৌধুরীর সঙ্গী ইবাদত হোসেন।

বোল্ড রুবেল

দ্বিতীয় নতুন বলে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান। দারুণ এক ডেলিভারিতে রুবেল হোসেনকে বোল্ড করে দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

বাঁহাতি পেসারকে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন রুবেল। বলের লাইন মিস করে ফিরে যান বোল্ড হয়ে। ৯ বল খেলে করেন ১ রান।

৮১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৯/৮। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী আবু জায়েদ চৌধুরী।

বাউন্ডারিতে মিঠুনের ফিফটি

ভারত সফরে চার নম্বরে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। আউটের ধরনের জন্য হয়েছিলেন সমালোচিত। পাকিস্তানে ছয়ে নেমে তিনিই টানছেন দলকে। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।

টানা দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি উপহার দেওয়া মিঠুন ১৩৭ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। পরের বলে ইয়াসির শাহকে ওড়ান ছক্কায়। বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম ছক্কা।

৮০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৫/৭। মিঠুন ৫৯ ও রুবেল হোসেন ১ রানে ব্যাট করছেন। এই ওভার শেষেই দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছে পাকিস্তান।

তাইজুলের বিদায়ে ভাঙল জুটি

দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার দুয়ারে পাকিস্তান। তার আগে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন তাইজুল ইসলাম। সেই চেষ্টায় নিজের উইকেট উপহার দিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাতে ভাঙল ৫৩ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।

হারিস সোহেলের আগের ওভারে একটুর জন্য মিড অফে ধরা পড়েননি তাইজুল। এবার লং অন দিয়ে ওড়াতে চেয়েছিলেন। ঠিকভাবে খেলতে পারেননি তিনি, মিড অফে ক্যাচ মুঠোয় জমান ইয়াসির শাহ।

৭২ বলে চারটি চারে ২৪ রান করেন তাইজুল। ৭৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৪/৭। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী দলে ফেরা রুবেল হোসেন।

সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি

মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মোহাম্মদ মিঠুন। আস্থার সঙ্গে খেলছেন তাইজুল ইসলাম। দুই জনের ব্যাটে সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সেরা জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ।

৭০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৩/৬। জুটির রান ৩২। মিঠুন ৩৬ ও তাইজুল ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের সেরা জুটি ছিল সাকিব আল হাসান ও শুভাগত হোম চৌধুরীর অবিচ্ছিন্ন ৩১। ২০১৫ সালে খুলনায় এই রান করেছিলেন দুই অলরাউন্ডার।

দ্বিতীয় সেশনেও ৩ উইকেট

প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও তিন উইকেট পড়েছে। এই সেশনেও সফরকারীরা গড়েছে একটি অর্ধশত রানের জুটি।

লাঞ্চের পর প্রথম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ আব্বাস। মাহমুদউল্লাহকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়া লিটন দাসের প্রতিরোধ ভাঙেন পাকিস্তানের গোল্ডেন আর্ম হারিস সোহেল।

চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৭২/৬। মোহাম্মদ মিঠুন ৩০ ও তাইজুল ইসলাম ১ রানে ব্যাট করছেন। 

রিভিউয়ে ফিরলেন লিটনও

আরেকটি দারুণ রিভিউয়ে ফিরলেন লিটন দাস। আস্থার সঙ্গে খেলে যাওয়া কিপার-ব্য্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ করে থামালেন হারিস সোহেল।

বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পেলেন হারিস। লেগ স্টাম্পের বল সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি লিটন। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন আজহার আলি।

বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে লেগ স্টাম্পে পড়ে বল আঘাত হানতো লেগ স্টাম্পে। সাদামাটা এক ডেলিভারিতে ভাঙল ৫৪ রানের জুটি। ৪৬ বলে সাত চারে ৩৩ রান করেন লিটন।

এর আগে দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে তামিম ইকবালকে ফিরিয়েছিল পাকিস্তান।

৫৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৩/৬। ক্রিজে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।

জীবন পেলেন মিঠুন

ঠিক এই শটটার জন্যই গালিতে একজন ফিল্ডার রাখা হয়েছিল। ফাঁদে পা-ও দিয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ইয়াসির শাহকে কাট করতে গিয়ে দিয়েছিলেন ক্যাচ। কিন্তু ফিল্ডারের ব্যর্থতায় বেঁচে যান মিঠুন। সে সময় ২২ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।

৫৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৭/৫। মিঠুন ২২ ও লিটন দাস ২৯ রানে ব্যাট করছেন।

মিঠুন-লিটনের ব্যাটে পঞ্চাশ

লাঞ্চের পর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টানছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও লিটন দাস। ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি ২৬টি, এর মধ্যে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ নিয়ে হলো আটটি।

বেশ দ্রুত রান আসছে মিঠুন-লিটনের জুটিতে। ৭৯ বলে তারা ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ।

৫৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৭/৫। তিন চারে ৬০ বলে ২২ রানে খেলছেন মিঠুন। ছয় চারে ৪৩ বলে ২৯ রানে খেলছেন লিটন।

মাহমুদউল্লাহও ফিরলেন বাইরের বল তাড়ায়

স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ায় টানা তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। কঠিন সময় পার করে ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।

শাহিন শাহ আফ্রিদির বেশ বাইরের বল পয়েন্ট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ স্লিপে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান আসাদ শফিক। চারটি চারে ৪৮ বলে ২৫ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পেতে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে একটুর জন্য বল স্টাম্পে যায়নি। উল্টো বাউন্ডারি পেয়ে যান এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১১/৫। মোহাম্মদ মিঠুন ২ ও লিটন ৪ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের একশ

প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ তাকিয়ে মাহমুদউল্লাহর দিকে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান দলের রান নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে।

৩৭তম ওভারে একশ স্পর্শ করে বাংলাদেশের সংগ্রহ। ১৯ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ। ২ রানে খেলছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৭ ওভার শেষে সফরকারীদের স্কোর ১০০/৪।   

লাঞ্চের পরেই শেষ শান্ত

প্রথম সেশনে দারুণ দৃঢ়তা দেখানো নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় সেশনে ফিরে গেলেন প্রথম ওভারেই। মোহাম্মদ আব্বাসের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ায় ধরা পড়লেন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে।

এতো বাইরের বল খেলার কোনো দরকার ছিল না। মুমিনুল হকের মতো শান্তও শরীর থেকে দূরের বল তাড়ায় ব্যর্থ হলেন সম্ভাবনাময় ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে।

১১০ বলে ছয় চারে ৪৪ রান করেন শান্ত। ৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৫/৪। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন। সবশেষ সিরিজে চারে ব্যাট করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান নেমেছেন ছয়ে।

আড়াই ঘণ্টার সেশনে শান্তর দৃঢ়তা

শুক্রবার বলে দিনের প্রথম সেশন হলো আড়াই ঘণ্টার। শুরুতে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শেষ দিকে মুমিনুল হককে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলকে টানছেন ষোলো মাস পর টেস্ট খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ৯৫/৩। শান্ত ৪৪ ও মাহমুদউল্লাহ ১৭ রানে ব্যাট করছেন।

টেস্টে আগের চার ইনিংসে সব মিলিয়ে ৪৮ রান করেছিলেন শান্ত। এক ইনিংসেই সে সব ছাড়িয়ে যাওয়ার দুয়ারে তরুণ বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

প্রথম ওভারে ক্রিজে যাওয়ার পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে পার করেন কঠিন সময়। অধিনায়ক মুমিনুলের সঙ্গে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। ধীরে শট খেলতে শুরু করেন শান্ত। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহর বিপক্ষে সুইপগুলো ছিল দারুণ। পেসারদের খেলেছেন চমৎকার কিছু কাভার ড্রাইভ।

শুরুতে একটু যেন দ্বিধায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং ক্রমশ সহজ আসা উইকেটে দলকে ভালো একটা সংগ্রহ এনে দেওয়ার দায়িত্ব তার কাঁধে।

দুই উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস। একটা লাইনে টানা বোলিং করে যাচ্ছেন। ছোট ছোট সুইংয়ে পরীক্ষা নিচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। ১০ ওভারের ছয়টিই নিয়েছেন মেডেন। ৭ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট। নাসিম শাহ ও ইয়াসিরের ওভারে রান এসেছে দ্রুত।

মুমিনুলের বিদায়ে ভাঙল জুটি

কিছুটা সহজ হয়ে এসেছে ব্যাটিং। খুব একটা ভোগাতে পারছেন না বোলাররা। সাবলীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন সময় অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ফিরলেন মুমিনুল হক। ভাঙল সফরকারীদের প্রতিরোধ।

শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাভার ড্রাইভ করেছিলেন অধিনায়ক। ঠিক মতো খেলতে পারেনি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ধরা পড়েন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। ভাঙে ৫৯ রানের জুটি।

সম্ভাবনাময় ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে পারলেন না মুমিনুল। ফিরলেন পাঁচ চারে ৫৯ বলে ৩০ রান করে।

২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬২/৩। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

শান্ত-মুমিনুলের জুটিতে পঞ্চাশ

কঠিন সময় পার করে দিয়ে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

দেশের বাইরে বাজে সময় কাটানো মুমিনুল ফিরেছেন চেনা ছন্দে। জুটিতে অধিনায়কই অগ্রণী। আগের টেস্টে পেয়ারের তেতো স্বাদ পাওয়া মুমিনুল চারে নেমে খেলছেন আস্থার সঙ্গে। পাঁচ চারে ব্যাট করছেন ৩০ রানে।

১০৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে তৃতীয় উইকেট জুটির রান। অধিনায়ককে দারুণ সঙ্গ দেওয়া শান্ত পেরিয়ে গেছেন নিজের আগের সেরা ১৮। তিন চারে ৬৪ বলে খেলছেন ২৪ রানে।

২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৭/২।

দ্রুত ২ ওপেনারকে হারানোর পর শান্ত-মুমিনুলের দৃঢ়তা

প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানো বাংলাদেশকে টানছেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় প্রথম ঘণ্টায় আর কোনো উইকেট হারায়নি সফরকারীরা।

স্বাগতিক পেসারদের ছোট ছোট সুইং বেশ ভুগিয়েছে শান্ত-মুমিনুলকে। একবার একটুর জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি বল। সংগ্রাম করলেও দুই ব্যাটসম্যান হাল ছেড়ে দেননি। উল্টা-পাল্টা শট খেলে আলগা করার চেষ্টা করেননি চাপ। মাটি কামড়ে পড়ে আছেন ক্রিজে।

প্রথম ঘণ্টায় ১৪ ওভারে ৩২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলে ফেরা শান্ত ৪৭ বলে ১৫ রানে ব্যাট করছেন। অধিনায়ক মুমিনুল ৩০ বলে খেলছেন ১৪ রানে। 

টিকলেন না তামিমও

প্রথম দুই ওভারে ফিরে গেলেন দুই ওপেনার। প্রথম ওভারে ফিরেছিলেন সাইফ হাসান, পরের ওভারে বিদায় নিলেন তামিম ইকবাল।

মোহাম্মদ আব্বাসের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় পাকিস্তান।

বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে পড়ে বল আঘাত হানতো অফ স্টাম্পে। পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ৫ বলে ৩ রান করে ফিরে যান তামিম।

২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩/২। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী মুমিনুল হক।

অভিষেকে সাইফের শূন্য

অভিষেকে প্রথম ইনিংসটা ভালো হলো না সাইফ হাসানের। তরুণ এই ওপেনার খেলেছেন কেবল দুই বল, ফিরেছেন শূন্য রানে।

শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাইফ। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে আসাদ শফিকের হাতে জমা পড়ে ক্যাচ। 

প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।

১ ওভার পর বাংলাদেশের স্কোর ৩/১। ম্যাচের প্রথম বলে তিন রান নিয়ে রানের খাতা খুলেছেন তামিম।

সাইফের অভিষেক, ফিরলেন শান্ত-রুবেল

সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস না থাকায় সাইফ হাসানের অভিষেক অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। হলোও তা-ই, দলে ফেরা তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করবেন সাইফ।

দলে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্ত ও রুবেল হোসেন ঢুকে গেছেন একাদশেও। জায়গা হয়নি সৌম্য সরকার, আল আমিন হোসেন, নাঈম হাসানের।

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন।

একাদশে টিকে গেলেন ইয়াসির

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সবশেষ টেস্টের একাদশ থেকে কোনো পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান। টিকে গেছেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য দলে আসা অফ স্পিনার বিলাল আসিফের জায়গা হয়নি একাদশে। 

বোলিং আক্রমণে ইয়াসিরের সঙ্গী তিন পেসার মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শাহ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।

পাকিস্তান: আজহার আলি, আবিদ আলি, শান মাসুদ, বাবর আজম, আসাদ শফিক, হারিস সোহেল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টস হারলেন মুমিনুল হক। সবুজ ঘাসে ছাওয়া উইকেটে পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলি নিলেন ফিল্ডিং।

ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার আশা বাংলাদেশের

দেশের বাইরে সময়টা বেশ বাজে কাটছে বাংলাদেশের। হেরেছে টানা আট টেস্ট, এর ছয়টিতেই ইনিংস ব্যবধানে। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া মুমিনুল হক। টেস্ট অধিনায়কের আশা, পাকিস্তান সফর দিয়ে ছন্দে ফিরবে বাংলাদেশ।

রাওয়ালপিন্ডিতে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে প্রথম টেস্ট। পাকিস্তানের মাটিতে ১৬ বছর পর এই সংস্করণে খেলছে বাংলাদেশ।

নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিরিজে নেই মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিম। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় আগে থেকেই নেই সাকিব আল হাসান। সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে ভারত সফরে না যাওয়া দেশসেরা ওপেনার তামিম টেস্টে ফিরছেন এই সিরিজ দিয়ে।

আদর্শ প্রস্তুতি ছাড়াই পাকিস্তান গেছে বাংলাদেশ। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময়ও পাননি মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ-তামিমরা। তবে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে তাদের পারফরম্যান্স আশা দেখাচ্ছে দলকে। ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম, সেঞ্চুরি এসেছে মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ ও লিটনের ব্যাট থেকে। ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান, পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম।