বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে একই দিন তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস ও শামসুর রহমান। তিন সেঞ্চুরিতে উত্তরাঞ্চলকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল।
মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানে অনভিজ্ঞ মিডল অর্ডারে মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে মাহমুদউল্লাহকে। টেস্টে সময়টা ভালো কাটছে না তার। সবশেষ ৬ ইনিংসে পাঁচবার থেমেছেন ১৬ রানের নিচে।
প্রথম ইনিংসে বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েও থেমেছিলেন ৩১ রানে। এবার তুলে নিলেন ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি। ৩৫ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি, ৭০ বলে একশ।
১ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে যায় শাহরিয়ার ও শামসুরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া শাহরিয়ার সেঞ্চুরিতে পৌঁছান আগে, বিদায়ও নেন আগে।
২৫১ বলে ১২ চারে ১১১ রান করে আরিফুল হকের বলে ধরা পড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকের হাতে। ভাঙে ২১১ রানের জুটি। পঞ্চদশ সেঞ্চুরি করার পথে আট হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার।
সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি শামসুরও। আরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ১০৯ রানে শেষ হয় তার ১৯তম সেঞ্চুরি। ২২২ বলের ইনিংসটি সাজানো ১১ চারে।
ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হন মাহমুদউল্লাহ। আগের দিন হেলমেটে বল লাগার পর মাঠ ছাড়া এনামুল হক ক্রিজে আসেন শামসুরের বিদায়ের পর। তিনিও মনোযোগী ছিলেন দ্রুত রান তোলায়।
দুই ব্যাটসম্যানকে ঠেকাতে পারেননি কেউ। ৪৪ বলে জুটির রান স্পর্শ করে পঞ্চাশ, ৭৯ বলে একশ। ১০৮ বলে দেড়শ। অগ্রণী ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৭০ বলে পাঁচ ছক্কা ও আট চারে তিনি সেঞ্চুরি স্পর্শ করার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল।
৩ উইকেটে ৩৯৮ রানে ইনিংস ঘোষণার সময় এনামুল তিনটি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে।
৪৫৪ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় বিনা উইকেটে ২২ রানে দিন শেষ করেছে উত্তরাঞ্চল। মিজানুর রহমান ১৫ ও রনি তালুকদার ৭ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ দিনে তাদের চাই আরও ৪৩২ রান।
সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৬২
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২০৭
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৪০/১) ১০২ ওভারে ৩৯৮/৩ ইনিংস ঘোষণা (শাহরিয়ার ১১১, এনামুল ৬৪*, শামসুর ১০৯, মাহমুদউল্লাহ ১০০*; ইবাদত ১৯-২-৭৮-০, তাসকিন ২৩-৫-৬৮-১, আরিফুল ১১-৩-৫১-২, সুমন ১৯-১-৮৮-০, সানজামুল ২৩-২-৮৪-০, তানবীর ৬-০-১৮-০, নাঈম ১-০-৫-০)
উত্তরাঞ্চল: ৬ ওভারে ২২/০ (মিজানুর ১৫*, রনি ৭*; শফিউল ৩-০-১৬-০, আল আমিন ২-২-০-০, রাজ্জাক ১-০-৬-০)