ট্রিপল সেঞ্চুরি পর্যন্ত কোনো ঝুঁকির পথে পা বাড়াননি তামিম। হাওয়ায় ভাসিয়ে শটও খেলেছেন কদাচিৎ। তিনশ ছোঁয়ার সময় বাউন্ডারি ছিল তার ৪০টি, ছক্কা ছিল না একটিও।
তিনশর পর অবশ্য হাত খুলে খেলতে থাকেন। পরের ১৯ বলে করেন ৩৪ রান। তাতে চার ছিল আরও দুটি, ছক্কা তিনটি।
তখন দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন চলছে কেবল। চা-বিরতি পর্যন্ত ব্যাট করাটা অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু ইনিংস ঘোষণা করে দেয় পূর্বাঞ্চল।
তামিম তাতে একটু অবাক হয়েছিলেন বটে। তবে দিনশেষে জানালেন, সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল।
“আমি চিন্তা করছিলাম যে, ওই ওভারে আরেকটি বল ছিল। ওই সময়ে আমি মারার চিন্তাই করছিলাম। ওই বলে ছক্কা মারতে পারলে, সাড়ে তিনশ থেকে ১০ রান দূরে থাকতাম…।”
“তবে দিনশেষে, তিনশ করি আর চারশ, দলের ফল না এলে ওই অনুভূতি খুব বেশি থাকে না। আমাদের দল সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। ৩ উইকেট পড়ে গেছে ওদের। এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট। বাকি ৭ উইকেট নিতে অনেক কষ্ট করতে হবে আমাদের।”
উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো বলেই হয়তো বোলারদের যথেষ্ট সময় দিতে চেয়েছেন মুমিনুল। ঘোষণা করেছেন ইনিংস। সেই উদ্দেশ্যও অনেকটা সফল হয়েছে। দিনের বাকি সময়ে মধ্যাঞ্চলের টপ অর্ডারের তিনটি উইকেট নিতে পেরেছে পূর্বাঞ্চল।