গত সোমবার পর্যন্ত বিসিবির অবস্থান ছিল, পাকিস্তানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গিয়ে স্রেফ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আসা। রোববার বোর্ড সভা শেষে বিসিবি প্রধান নিজেও জানান, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার পরামর্শ দিয়েছে, যত কম সময়ের মধ্যে সফর শেষ করে আসা যায়।
অথচ মঙ্গলবারই বদলে গেল চিত্র। দুবাইয়ে আইসিসি সভার ফাঁকে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর নিয়ে আলোচনা হলো দুই দেশের বোর্ড প্রধানের। এরপর রাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানাল, তিন মাসের মধ্যে তিন দফায় পাকিস্তান সফরে গিয়ে তিনটি সংস্করণই খেলবে বাংলাদেশ। এফটিপিতে শুধু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থাকলেও বাড়তি যোগ করা হয়েছে একটি ওয়ানডে!
বুধবার দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নাজমুল হাসান মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের। সেখানে জানালেন তার সফরের প্রেক্ষাপট।
“আমার আসলে আইসিসিতে যাওয়ার কথা ছিল, আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে আগেই কথা ছিল এই সময়টায় উনি থাকবেন। আমি যেন পারলে গিয়ে দেখা করি। এজন্যই গিয়েছি। গিয়ে দেখি পাকিস্তানও আছে ওখানে। আমাদের আগেই গিয়েছে।
“ওখানে আমাদের বক্তব্য আমরা দিলাম। পাকিস্তান তাদের বক্তব্য আগেই দিয়েছে, আমি শুনিনি। সবাই একমত হলো, আমরা যেটা বলছি, সবার কাছে সেটিই যৌক্তিক মনে হয়েছে।”
বিসিবি প্রধান যদিও বলছেন, দুবাইয়ে গিয়ে দেখেছেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি, কিন্তু আগের রাতেই পিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, আইসিসি সভার ফাঁকে কথা হবে বিসিবি ও পিসিবি সভাপতির।
সেই আলোচনার ফল দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের সূচিতেই। অনেকেই এটিকে মনে করছেন পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক পরাজয়। কিন্তু সেই সমালোচনার কারণই বুঝতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি।
“আমি জয় দেখছি না। আমার কাছে একটা ইস্যু ছিল যে যেটার আউটকাম আমাদের জানা ছিল না। আমি খুশি যে সমাধান হয়েছে।”
“আমি জানি না এটা কেন বলছে। ওরা কখনই বলেনি আমরা টি-টোয়েন্টি খেলে আসব। ওরা প্রথমে বলেছে পুরো সিরিজ খেলতে হবে, পরে বলেছে আগে টেস্ট খেলতে হবে। এখন এটা তারা (সমালোচকরা) কেন বলছে, এটার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না। আমি জানি না… আমার কাছে এটা অদ্ভুত লাগছে। আমরা যেটা বলেছি, আমার মনে হয় সেটাই হয়েছে।”