আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন প্যাট কামিন্স, বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার প্রত্যাশিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ার মানার্স লাবুশেন। ভারতীয় পেসার দিপক চাহার জিতেছেন সেরা টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সের পুরস্কার।
বিরাট কোহলি পেয়েছেন ‘স্পিরিট অব দা ক্রিকেট’ পুরস্কার। বল টেম্পারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে নামা স্টিভেন স্মিথকে বিশ্বকাপের ম্যাচে যখন দুয়ো দিচ্ছিলেন দর্শকেরা, কোহলি তখন মাঠ থেকে দর্শকদের আহবান জানিয়েছিলেন দুয়ো না দিয়ে অনুপ্রেরণা জোগাতে। ভারতীয় অধিনায়ক স্বীকৃতি পেয়েছেন সেটির জন্যই।
এছাড়া আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কও নির্বাচিত হয়েছেন কোহলি। সহযোগী দেশগুলির সেরা ক্রিকেটার স্কটল্যান্ডের কাইল কোয়েটজার। সেরা আম্পায়ারের পুরস্কার প্রথমবার জিতেছেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
স্টোকসের বর্ষসেরা স্বীকৃতি নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে সামান্যই। গত বছর টেস্টে ৮২১ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার, উইকেট নিয়েছেন ২২ টি। ওয়ানডেতে করেছেন ৭১৯ রান, উইকেট ১২টি।
বিশ্বকাপ ফাইনালে তার নায়কোচিত পারফরম্যান্সেই শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে অ্যাশেজ জিততে না পারলেও স্টোকসের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। দলের বিপর্যয়ে অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি অ্যাশেজে, যার একটিতে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে জিতিয়েছেন দলকে।
বর্ষসেরার স্বীকৃতি পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত স্টোকস।
“সর্বসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি স্যার গ্যারি সোবার্স ট্রফি জিততে পারাটা দারুণ তৃপ্তিদায়ক। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য গত ১২ মাস ছিল অবিশ্বাস্য, বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারা ছিল আমাদের সেরা অর্জন। গত ১২ মাস আমার ক্যারিয়ারেও সেরা সময়। এই বছরের অর্জনই সামনের বছরগুলিতে আমাদের আরও সাফল্য পেতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।”
ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে বর্ষসেরার স্বীকৃতি স্টোকসের আগে পেয়েছিলেন কেবল দুইজন। ২০০৫ সালে অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ (জ্যাক ক্যালিসের সঙ্গে যৌথভাবে) ও ২০১১ সলে জোনাথন ট্রট।
বছরজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য কিছুদিন আগে বিবিসির বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বও মনোনীত হয়েছিলেন স্টোকস।