বিশ্ব মঞ্চে আলো ছড়াতে প্রত্যয়ী যুবারা

পচেফস্ট্রুমে এক সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জে মুখোমুখি হতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বাংলাদেশ। অধিনায়ক আকবর আলী জানিয়েছেন, এবারের আসরকে তারা দেখছেন নিজেদের দক্ষতা দেখানোর মঞ্চ হিসেবে। তার বিশ্বাস, সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকা সম্ভব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2020, 06:47 PM
Updated : 11 Jan 2020, 06:56 PM

দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৭ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে খেলতে ৩ জানুয়ারি ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পচেফস্ট্রুমে একটি ক্যাম্প করেছে তারা। শনিবার জোহানেসবার্গে নিউ জিল্যান্ড ও কানাডার অধিনায়কের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকবর জানান নিজেদের লক্ষ্যের কথা।

“এখানে খেলতে পেরে ভালো লাগছে। আমি মনে করি, বিশ্বকে আমাদের দক্ষতা দেখানোর এটি দারুণ সুযোগ। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এখন মুখিয়ে আছি এই বৈশ্বিক আসরে খেলার জন্য। ছেলেরাও বেশ রোমাঞ্চিত বিশ্বকাপ খেলতে পেরে।”

গত যুব বিশ্বকাপের পর থেকে ৩৩টি ওয়ানডে খেলে ১৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ৮টিতে, টাই হয়েছে একটি, পরিত্যক্ত হয়েছে ছয়টি ম্যাচ। তিন বিভাগেই ভালো করে মেলে এই সাফল্য। বিশ্বকাপেও সেটি ধরে রাখতে আশাবাদী অধিনায়ক। 

“আমাদের স্কোয়াড বেশ ভারসাম্যপূর্ণ, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং, তিন বিভাগই ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের দলের সবাই খুবই প্রতিভাবান। আমি কারও নাম নিতে পারব না। আমরা যদি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি, তাহলে আমরা টুর্নামেন্টের শেষের দিকে যেতে পারব।”

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২১ জানুয়ারি খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২৪ জানুয়ারি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আকবরদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। আপাতত কেবল জিম্বাবুয়েকে নিয়েই ভাবছেন আকবর।

“এটি ম্যাচ ধরে ধরে খেলার বিষয়। জিম্বাবুয়ে ভালো দল। আমরা ওদের সবশেষ সিরিজটি দেখেছি। ওদের হারাতে হলে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।”

১৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এক দিন পর দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ডের।

চার গ্রুপের খেলা শেষে ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি হবে চারটি কোয়ার্টার-ফাইনাল। ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি হবে দুটি সেমি-ফাইনাল। ৯ ফেব্রুয়ারি হবে ত্রয়োদশ আসরের ফাইনাল।