জাদেজার রান আউটের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কোহলি

হার দিয়ে সিরিজ শুরুর হওয়ার হতাশা তো আছেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে রান আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয়। সব মিলিয়ে বেশ ক্ষোভ ঝাড়লেন বিরাট কোহলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রবীন্দ্র জাদেজার রান আউট মানতে পারছেন না ভারতীয় অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2019, 11:03 AM
Updated : 16 Dec 2019, 11:18 AM

চেন্নাইতে রোববার ভারতের ইনিংসের ৪৮তম ওভারের ঘটনা সেটি। কিমো পলের বলে দ্রুতগতিতে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন জাদেজা। ফিল্ডার রোস্টন চেইস থ্রো করে স্টাম্পে বল লাগিয়েছিলেন সরাসরি। তবে জাদেজা ক্রিজে পৌঁছে গেছেন বলেই তখন মনে হয়েছিল। আম্পায়ার শন জর্জ আউট দেননি, তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেও সিদ্ধান্ত পাঠাননি।

খানিক পর স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় রিপ্লেতে দেখা যায় জাদেজা ছিলেন আউট! সেটি দেখে আবেদন করেন চেইস। সঙ্গে যোগ দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। আম্পায়ার শন জর্জ এবার সিদ্ধান্ত জানতে চান তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। রান আউট হয়ে ফেরেন জাদেজা।

নিয়ম অনুযায়ী, রিপ্লে দেখার পর আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন না বা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যেতে পারেন না। এই ঘটনার সময়ই ড্রেসিং রুমে কোহলির প্রতিক্রিয়ায় অসন্তুষ্টি ফুটে ওঠে স্পষ্ট। ম্যাচ শেষেও ভারতীয় অধিনায়ক লুকাননি ক্ষোভ।

“ভাবনাটা খুব সাধারণ। ফিল্ডার শুরুরতে আবেদন করেছিল, আম্পায়ার আউট দেননি। আউটের সিদ্ধান্ত ওখানেই শেষ। বাইরে যারা বসে টিভিতে দেখছে, তারা তো কোনোভাবেই ফিল্ডারদের জানাতে পারেন না আম্পায়ারকে রিভিউ নেওয়ার কথা বলতে।”

“এরকম কিছু আমি কখনোই দেখিনি। ঠিক জানিনা আইন কোথায়, সীমারেখা কোথায় টানতে হয়। আমার মনে হয়, ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের উচিত, আবার বসে ঘটনাটি দেখা এবং খুঁজে বের করা, ক্রিকেটে কি করা উচিত। মাঠের বাইরে যারা বসে আছেন, তারা মাঠের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারেন না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে, ঠিক সেটাই হয়েছে।”

জাদেজা আউট হয়েছেন ২১ বলে ২১ রান করে। কোহলির বিশ্বাস, জাদেজা থাকলে ১৫-২০ রান বেশি যোগ হতো দলের স্কোরে। আগে ব্যাট করে ২৮৭ রান তুলে ভারত শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৮ উইকেটে।

কাইরন পোলার্ড অবশ্য একমত নন কোহলির সঙ্গে। ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের মতে, প্রক্রিয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সঠিক ফলাফল।

“আমার মতে, দিনশেষে সঠিক সিদ্ধান্তটিই নেওয়া হয়েছে। খেলাটার ভালোর কথা বললে, সঠিক সিদ্ধান্তই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমরা শুরুতে আবেদন করেছিলাম, আম্পায়ার সেটি রাখেননি, সেই সময় হয়তো জরুরী মনে করেননি। কিন্তু পরে সঠিক সিদ্ধান্তই বেরিয়ে এসেছে এবং সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”