বিপিএলের উদ্বোধনে সাধারণ দর্শকের টিকেট 'অল্প সংখ্যক'

মাঠের পূর্ব প্রান্তে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে দিন দুয়েক ধরে। নানারকম সংস্কারের ছোঁয়া চলছে। বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে কাজের অগ্রগতি মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এরপর শোনালেন দর্শকদের জন্য দুঃসংবাদ, জমকালো উদ্বোধনী আয়োজন মাঠে বসে দেখতে পারবেন কেবল হাজার পাঁচেক দর্শক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2019, 12:40 PM
Updated : 3 Dec 2019, 12:40 PM

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে আগামী রোববার। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ঘিরে এই আয়োজন বলে জাঁকালো উদ্বোধন করতে যাচ্ছে বিসিবি। চলছে বিশাল আকৃতির মঞ্চ তৈরির কাজ।

মাঠে সবচেয়ে বেশি দর্শকের জায়গা হয় যেখানে, সেই পূর্ব গ্যালারি পড়ে যাচ্ছে মঞ্চের ঠিক পেছনে। সেখান থেকে মঞ্চের সম্মুখভাগ দেখা যাবে না, তাই ফাঁকা থাকবে সেই গ্যালারি। মঞ্চের ঠিক দুই পাশের গ্যালারি থেকেও ততটা দেখা যাবে না, তাই সেখানেও ফাঁকা থাকবে অনেকটা। প্রেসিডেন্ট বক্সে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিরাপত্তার জন্য ফাঁকা রাখতে হবে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের অনেকটা অংশ। ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারির অনেকটা জায়গা থাকবে ফাঁকা।

এরপর অনেক জায়গা দিতে হবে ভিআইপি ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। সব মিলিয়ে সাধারণ দর্শকের জায়গা খুব বেশি হবে না, মাঠ পরিদর্শন শেষে জানালেন বিসিবি প্রধান।

“মাঠে খুব অল্প সংখ্যক দর্শককে আমরা জায়গা দিতে পারব। মঞ্চের পেছন দিকে পারছি না, দুই পাশেও পারছি না (জায়গা দিতে)। মাঠের ভেতরে পিচ বা মাঠ নষ্ট হতে পারে, এরকম ঝুঁকি নিতে পারছি না। কাজেই এখানেও জায়গা দিতে পারছি না (সাধারণ দর্শেকর জন্য)। ভিভিআইপিদের জন্য কিছু চেয়ার মাঠে মঞ্চের দুই পাশে থাকবে।”

“আমাদের হিসাব অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ৮ হাজারের বেশি দর্শককে জায়গা দেওয়া কঠিন হবে। সেখানে আমাদের কাউন্সিলরদের দিতে হবে, ক্লাবগুলোকে দিতে হবে, স্পন্সর, সরকারী বিভিন্ন সংস্থাকে দিতে হবে। এরপর হাজার পাঁচেক টিকিট আমরা সাধারণ দর্শককে দিতে পারব।”

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারির বেশির ভাগ অংশেই চেয়ার ভেঙে, ফেটে গেছে। বসার উপায় নেই। নর্দার্ন গ্যালারির অনেকটা জায়গা থেকে চেয়ার উঠিয়ে নেওয়াও হয়েছে। নাজমুল হাসান জানালেন, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে চেয়ার নিয়ে দ্রুতই সংস্কার করা হবে।

“সবসময় আমরা বাইরে থেকে চেয়ার আমদানী করে আনতাম। যাদের কাছ থেকে আমদানী করেছি, ওদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছি। দেব-দিচ্ছি করে আর তারা চেয়ার পাঠায়নি। এখন জরুরি ভিত্তিতে চেয়ার বদলানো দরকার। তাই ঠিক করেছি, এই প্রথমবার স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে চেয়ার নিচ্ছি। ওদেরগুলো ভালো হলে, টেকসই হলে, ভবিষ্যতেও এখান থেকে নেওয়া হবে।”

গ্যালারি নান্দনিক করে তুলতে ‘কালারফুল’ রূপ দেওয়ার ভাবনার কথাও জানালেন নাজমুল হাসান।