অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ব্যাটিং বরাবরই উপভোগ করেন মিরাজ। তরুণ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের বড় জুটির বেশিরভাগই মুশফিকের সঙ্গে। ইন্দোর টেস্টেও দ্বিতীয় ইনিংসে দুই জনে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
“মুশফিক ভাই বেশির ভাগ সময়ই আমার সাথে কথা বলেন। ওয়ানডে বা টেস্ট যাই বলেন, আমার যতগুলো বড় জুটি হয়েছে, তার সাথেই হয়েছে।”
“উনি আমাকে বলছিলেন, ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে। তবে এখানে ভালো বলের পরিমাণ বেশি থাকবে। যত ভালো দলের সঙ্গে খেলবে, ভালো বলের পরিমাণ তত বেশি হবে। স্কোরিং শট খেলার সুযোগ অনেক কম পাওয়া যায়। যতটা নিজেকে সামলে রাখা যায়…ইনিংস বড় করতে এগুলো নিয়েই আমাকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন।”
ইন্দোরে টেস্টে তৃতীয় দিন চা-বিরতির পর প্রথম ওভারে ফিরে যান মিরাজ। তার বিদায়ের পর বেশিদূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরে যায় তিন দিনেই। সেদিন মুশফিককে আরেকটু বেশি সময় দিতে না পারার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে মিরাজকে।
“মুশফিক ভাই শেষ ইনিংসে অনেক ভালো ব্যাট করছিলেন। কিন্তু আমরা লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সাপোর্ট দিতে পারিনি। সেটা করতে পারলে দলের জন্য ভালো হতো।”
“এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। কোচও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ক্রিজে যে ব্যাটসম্যান থাকবে, তাকে সাপোর্ট দিতে হবে। যেন ২০-৩০ রান করতে পারে বা ২০-৩০ বল খেলে ব্যাটসম্যানকে আত্মবিশ্বাস দিতে পারে। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে আলাদা করে, যেন ব্যাটসম্যানকে বেশি খেলার সুযোগ করে দিতে পারি।”