ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় সকালে দারুণ এক ডেলিভারিতে কোহলিকে এলবিডব্লিউ করেন আবু জায়েদ। তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। বল পেছনের পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ।
আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগতো লেগ স্টাম্পে। পাল্টায় সিদ্ধান্ত। দুই বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে তার প্রথম শূন্য।
ইনিংস ও ১৩০ রানে তিন দিনে প্রথম টেস্ট হেরে গেছে বাংলাদেশ। রোববার হলকার স্টেডিয়ামে ছিল সফরকারীদের ঐচ্ছিক অনুশীলন। অনুশীলন শুরুর আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা আবু জায়েদ জানান, কোহলির উইকেট পাওয়ার পর সতীর্থরা অনেক উৎসাহ দিয়েছেন তাকে।
“তখন চেষ্টা করেছি বলটা সুইং করাতে পারি কিনা। আমার মনে হয়, আমার মূল শক্তি হলো সুইং। সুইং করে ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করতে হয়। আমি চেষ্টা করেছি ভালো জায়গায় বোলিং করার।”
“অবশ্যই ভালো অনুভূতি ছিল। কারণ, রোহিত ও কোহলি বিশ্বের এক, দুই নম্বর ব্যাটসম্যান বলতে গেলে। যেহেতু বিরাট কোহলি বিশ্বের এক নম্বর (আসলে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর) ব্যাটসম্যান, তাকে আউট করতে পারা মানে স্বপ্নের উইকেট। অবশ্যই কোহলি আমার লাইফের ড্রিম উইকেট।”
প্রথম টেস্টে ১০৮ রানে ৪ উইকেট নেন আবু জায়েদ। টেস্টে এটাই তার প্রথম চার উইকেট শিকার।