স্পট ফিক্সিংয়ে গ্রেপ্তার কর্ণাটকের দুই ক্রিকেটার

স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্ণাটকের দুই ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 08:20 AM
Updated : 7 Nov 2019, 10:51 AM

পুলিশ বলছে,কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের (কেপিএল) ফাইনালে অর্থের বিনিময়ে ধীরগতির ব্যাট করার প্রমাণ পেয়ে বেলারি টাস্কার্স দলের অধিনায়ক সিএম গৌতম এবং তার সতীর্থ আবরার কাজীকে তারা গ্রেপ্তার করেছে।

এই দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হুবলি টাইগার্স দলের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ধীরগতির ব্যাট করার বিনিময়ে ২০ লাখ রুপি নিয়েছেন তারা। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচ টাস্কার্স হেরেছিল ৮ রানে।

ফাইনাল ছাড়া আরও এক ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে টাস্কার্সের প্রতিপক্ষ ছিল বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্স।

কর্ণাটক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্দীপ পাতিলকে উদ্ধৃত করে ইএসপিএনক্রিকইনফো লিখেছে, আরও কয়েকজনকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

বেলাগাভি প্যান্থারস দলের মালিক আলি আশফাক থারা গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেপিএলে স্পট-ফিক্সিং কাণ্ড সামনে আসে। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বেলাগাভি প্যান্থারসকে। টাস্কার্স দলের মালিক আরভিন্দ ভেঙ্কটেশ রেড্ডিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তের ধারাবাহিকতায় গত ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্সের ব্যাটসম্যান এম বিশ্বনাথন ও দলের বোলিং কোচ ভিনু প্রাসাদকে।

বুধবার গ্রেপ্তার হন নিশান্ত শেখাওয়াত নামের আরেক ক্রিকেটার। ক্রিকেটার ও বুকিদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কাজটি নিশান্তই করতেন বলে পুলিশের ভাষ্য। 

কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম বড় তারকা ক্রিকেটার গৌতম ভারত ‘এ’ দলের পাশাপাশি খেলেছেন আইপিএলের বেশ কয়েকটি দলে। শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে গোয়া দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তার।

অন্যদিকে নাগাল্যান্ডের হয়ে গত বছর ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করা আবরার এ মৌসুমের শুরুতে যোগ দিয়েছেন মিজোরামে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে একটি ম্যাচও খেলেছেন তিনি।