দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রোববার ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে দুই দলের স্পিনাররা সুবিধা পেয়েছেন। ভারত খেলেছিল তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। মুশফিক জানান, এই জন্য তাদের কাজটা ছিল বেশ কঠিন।
“আমার মনে হয়, লক্ষ্য তাড়া করাটা খুব একটা সহজ ছিল না। এখানে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। বিশেষ করে নতুন বলে। ভারতের খুব ভালো মানের কয়েকজন স্পিনার ছিল। তাদের বিপক্ষে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল না। আমাদের এই ম্যাচে কিংবা এই সিরিজে হারানোর কিছু নেই। এটা আমাদের নিজেদের সম্ভাবনা অনুযায়ী এবং ভীতিহীন ক্রিকেট খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।”
শেষ ২ ওভারে ৩০ রান দিয়েছিল বাংলাদেশ। খরুচে সেই ওভারের জন্য ম্যাচ হাত থেকে ছুটেও যেতে পারতো। বোলিংয়ে উন্নতির অনেক সুযোগ দেখেন প্রথম ম্যাচের নায়ক।
“এখনও আমাদের উন্নতির কিছু জায়গা আছে। বোলিংয়ে আমরা শেষ ২ ওভারে সহজ কিছু বাউন্ডারি দিয়েছি।”
শেষের এলোমেলো বোলিংয়ের জন্য দুষলেও জয়ের মূল কৃতিত্ব পেসারদের দিলেন মুশফিক।
“বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা অসাধারণ একটা সময়। টি-টোয়েন্টিতে ওদের বিপক্ষে এই প্রথম জিতলাম। আমাদের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দলে নেই। তরুণরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, বোলাররা যেভাবে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে বোলিং করেছে এটা অসাধারণ। ওরাই ম্যাচের সুরটা বেঁধে দিয়েছে।”
“আমাদের পেসারদের শুরুটা দারুণ হয়েছে। যদিও ওরা খুব একটা নিয়মিত খেলে না। আল আমিন ৩ বছর পর খেললো। শফিউল আসা-যাওয়ার মধ্যে আছে। একই ব্যাপার ঘটেছে মুস্তাফিজের ব্যাপারেও। সব বোলার ভালো করেছে। আমিনুল, আফিফ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওরা কন্ডিশন খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। যদিও আমরা শেষ পর্যন্ত বোলিং ১০/১৫ রান বেশি দিয়েছি।”