জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানের লিড পেয়েছে সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ১২ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বরিশাল। এখনও তারা ১৪৮ রানে পিছিয়ে, হাতে আছে ৯ উইকেট।
প্রথম দিন ইবাদতের ৫ উইকেটে ১৬২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বরিশাল। জবাবে ১ উইকেটে ৮১ রান তুলে দিন শেষ করেছিল সিলেট।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার শুরতেই ফেরেন এনামুল হক জুনিয়র। এরপর ছোট ছোট কিন্তু কার্যকর জুটিতে এগোতে থাকে সিলেট। তৌফিক খানকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রান যোগ করেন শানাজ। খানিক পর বিদায় নেন শানাজও। ১৮২ বলে ৮টি চারে ৭৩ রান করেন এই ওপেনার।
দিনের সর্বোচ্চ জুটির দেখা মেলে এরপরই। জাকিরের বিদায়ে ভাঙে পঞ্চম উইকেটে তার সঙ্গে অলক কাপালীর ৬২ রানের জুটি। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে এরপর দলীয় সংগ্রহ তিনশ পার করেন কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলি।
হাত ঘুরিয়েছেন বরিশালের ৯ বোলার। সাত জন পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ৬৯ রানে ৩ উইকেট নেন স্পিনার মনির হোসেন, বাকিরা একটি করে।
দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে এর আগেও সাত জন বোলারের উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে চার বার।
অন্যান্য দেশ মিলিয়ে এমন নয়টি ম্যাচ আছে, যেখানে এক ইনিংসে আট জন বোলার পেয়েছেন উইকেটের দেখা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ১৬২
সিলেট ১ম ইনিংস: ১১৩.১ ওভারে ৩২২ (আগের দিন ৮২/১) (শানাজ ৭৩, এনামুল হক জুনিয়র ১৬, তৌফিক ২০, জাকির ৫৩, কাপালি ২৯, জাকির ৩৫, শাহানুর ৭, নামুম ১৬, আবু জায়েদ ৯, ইবাদত ০*; রাব্বি ১৬.১-১-৪৬-১, সালমান ৫-০-১৫-০, তানভীর ১৪-৩-৪১-১, মনির ৩৩-১১-৬৯-৩, সোহাগ ১৯-১-৫৬-১, রাফসান ২-০-৬-১, আশরাফুল ১৫-১-৫৩-১, ফজলে মাহমুদ ১-০-৪-০, নুরুজ্জামান ৮-১-১৯-১)
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৬ ওভারে ১২/১ (রাফসান ০, আশরাফুল ২*, ফজলে মাহমুদ ৭; ইবাদত ২-০-২-০, আবু জায়েদ ২-১-৭-১, শাহানুর ১-০-১-০, এনামুল জুনিয়র ১-১-০-০)