মঙ্গলবারের খেলায় দুই দলই পেয়েছে বড় জয়। ওমানের বিপক্ষে নামিবিয়া জিতেছে ৫৪ রানে। আর বাছাইপর্বের স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নেদারল্যান্ডস হারিয়েছে আট উইকেটে।
প্লে-অফের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা নামিবিয়া ৬৯ রান তুলতেই হারিয়েছিল ৫ উইকেট। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ক্রেইগ উইলিয়ামস ও জেজে স্মিটের ৪০ বলে ৮৩ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা।
৪১ বলে দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৫ রান করেন উইলিয়ামস। তুলনায় স্মিত ছিলেন বিধ্বংসী; ২৫ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় তিনি করেন ৫৯ রান। টানা দুই বলে দুজনকে ফেরান বিলাল খান। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে নামিবিয়া।
রান তাড়ায় ৫ ওভারের মধ্যে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তুলে ফেলেছিল ওমান। তবে এরপরই অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস ও বার্নার্ডের স্পিন আক্রমণে এলোমেলো হয়ে যায় তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। গুটিয়ে যায় ১০৭ রানেই। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান করে ফেরেন ওপেনার খাওয়ার আলি। তিনটি করে উইকেট নেন এরাসমান ও শল্টজ।
এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে নামিবিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় আমিরাতের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৯! অধিনায়ক আহমেদ রাজা (২২), ওয়াহিদ আহমেদ (১৯) ও উইকেটকিপার মোহাম্মদ বুটার (১৯) ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান তোলে তারা। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন নেদারল্যান্ডসের ডানহাতি পেসার ব্রান্ডন গ্লোভার।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডকে হারালেও বেন কুপার ও কলিন অ্যাকারমেনের জুটিতে সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকে নেদারল্যান্ডস। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে তোলেন ৫১ রান। ১৮ রান করে অ্যাকারমেন আউট হবার পর কুপারকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রায়ান টেন ডেসকাট। ৫৩ বলে তিনটি চারে ৪১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন কুপার। ডেসকাট করেন ১১ রান।