জাতীয় লিগের প্রথম স্তরে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটির প্রথম দিনে ১২০ রান করে সাইফ মাঠ ছেড়েছিলেন অসুস্থ হয়ে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে ফিরে সেই ইনিংস টেনে নিয়েছেন দ্বিশতকে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে করেছেন অপরাজিত ২২০। ৮ উইকেটে ৫৫৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ঢাকা বিভাগ।
নাইটওয়াচম্যান সুমন খানকে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরু করেছিলেন শুভাগত হোম। দিনের প্রথম ১০ ওভারে উইকেট হারাতে দেয়নি এই জুটি।
২৪ রানে সুমন আউট হওয়ার পর আবার ব্যাটিংয়ে ফেরেন সাইফ। অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহার সেই ওভারে ফেরেন শুভাগতও।
তবে সাইফের সঙ্গীর অভাব হয়নি। সপ্তম উইকেটে ঠিক ১০০ রানের জুটি হয়েছে নাদিফ চৌধুরীর সঙ্গে। ৬ চার ও ২ ছক্কায় অভিজ্ঞ নাদিফ করেছেন ৬১।
এরপর জয়রাজ শেখ ও নাজমুল ইসলাম অপুদের নিয়ে সাইফ পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরিতে। দুজনের সঙ্গেই জুটিতে হয়েছে ফিফটি।
সাইফ কাঙ্ক্ষিত মাইলফলক ছুঁয়েছেন চা-বিরতির পর। ২০০ ছুঁতে লেগেছে ৩১৬ বল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের চার সেঞ্চুরির দুটিতেই ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ২০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক নাদিফ যখন ইনিংস ঘোষণা করলেন, সাইফ তখন অপরাজিত ১৯ চার ও ৪ ছক্কায় ২২০ রান করে।
তার আগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ২০১৭ সালে ঢাকা বিভাগের হয়েই বরিশালের বিপক্ষে সিলেটে ২০৪।
রংপুরের দুই স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ ও সঞ্জিত সাহা নেন ৩টি করে উইকেট। তবে দুজনকেই হাত ঘোরাতে হয়েছে অনেক ওভার। লেগ স্পিনে তানবীর হায়দার ছিলেন বেশ খরুচে। কার্যকর ছিলেন না দলের পেসাররাও।
দিন শেষে ৮ চারে ৬৪ বলে ৫১ রানে অপরাজিত লিটন। তৃতীয় দিনে তিনি দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলামকে নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা বিভাগ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩১৪/৪) ১৬০ ওভারে ৫৫৬/৮ ইনিংস ঘোষণা (সাইফ ২২০*, শুভাগত ১৭, সুমন ২৪, নাদিফ ৬১, জয়রাজ ২৬, অপু ১৮*; রবিউল ২২-৬-৬২-১, সাজেদুল ৮-০-৪৫-০, আরিফুল ১৫-৩-৪৫-০, সোহরাওয়ার্দী ৪৪-৭-১৩৪-৩, সঞ্জিত ২৫-১-৮৯-৩, তানবীর ২৪-০-৯২-০, নাসির ৩-০-১৫-০, মাহমুদুল ১৯-২-৬১-১)।
রংপুর বিভাগ ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ৭১/২ (লিটন ৫১*, হামিদুল ৯, মাহমুদুল ০, নাঈম ৮*; সুমন ৪-০-২৪-০, শাকিল ৭-৩-১৬-২, নাজমুল অপু ৫-১-২৬-০, তাইবুর ১-০-২-০, শুভাগত ১-০-২-০)।