১ রানের জয় পেল সূর্য তরুণ

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় কোনো সংগ্রহ জমা পড়েনি স্কোরবোর্ডে। তবে ছোট পুঁজি নিয়েই দারুণ লড়াই করলেন সূর্য তরুণ ক্লাবের বোলাররা। সিটি ক্লাবের বিপক্ষে তুলে নিলেন নাটকীয় জয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2019, 01:29 PM
Updated : 16 Oct 2019, 01:29 PM

প্রথম বিভাগ টি-টোয়েন্টিতে বুধবার সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে সূর্য তরুণ ক্লাব জিতেছে ১ রানে। সূর্য তরুণের পাশাপাশি জয় পেয়েছে শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র ও বিকেএসপি।

সিটি ক্লাব-সূর্য তরুণ

‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা সূর্য তরুণের কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই দুই অংক ছুঁলেও বিশের বেশি রান করেন মাত্র একজন। সর্বোচ্চ ২১ রান আসে ওপেনার ওয়াহিদুজ্জামানের ব্যাট থেকে। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সূর্য তরুণ তোলে ১০৯ রান। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সিটি ক্লাবের আবু বক্কর সিদ্দিক।

ব্যাট হাতেও দলকে টেনেছেন সিদ্দিক। রান তাড়ায় ৩১ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিটি ক্লাব। চতুর্থ উইকেটে সিদ্দিক ও সাইফুল ইসলামের ৫১ রানের জুটিতে তাদেরকে ফেরায় জয়ের পথে। তবে এক ওভারেই থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সূর্য তরুণের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন নাইমুল ইসলাম।

৩০ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করে ফেরেন সিদ্দিক। সাইফুল করেন ৩১ বলে ২০ রান।

শেষ ৭ বলে জয়ের জন্য সিটি ক্লাবের দরকার ছিল ৬ রান। কিন্তু ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা। ৭ উইকেটে ১০৮ রানে থামে তাদের ইনিংস। নাইমুলের পাশাপাশি দুটি উইকেট পেয়েছেন সজীব রায় আদিত্য।

উত্তরা-শেখ জামাল

‘এ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ভালো সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। ওপেনার আবির দাস আকাশের ৩৩ বলে ৪৩ আর তিনে নামা মোসাব্বেক হোসেনের ৩১ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১৪৮ রান। এছাড়া ২৬ বলে ২৮ রান করেন হৃদয় ইসলাম। উত্তরা ক্রিকেট ক্লাবের সোহেল রানা ৪ ওভার বল করে ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। 

রান তাড়ায় উত্তরার দুই ওপেনার জাহিদুল ইসলাম জয় ও সজীব হোসেন ৫৩ বলে তোলেন ৬৭ রান। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন জাহিদুল। তৃতীয় উইকেটে শোচাই চৌধুরীর সাথে মিলে সজীব যোগ করেন আরও ৩৩।

শেষ পাঁচ ওভারে বলপ্রতি রান তোলার সমীকরণ ছিল উত্তরার সামনে। কিন্তু আটঁসাটঁ বোলিংয়ে এরপর তাদের চেপে ধরে শেখ জামাল। অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসেও দলকে জেতাতে পারেননি সজীব। ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে উত্তরা তোলে ১৪৪ রান। ম্যাচ হারে ৪ রানে।

কলাবাগান-ইন্দিরা রোড

‘বি’ গ্রুপে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে কলাবাগানের ব্যাটিং লাইনআপ। মেহেদী মাহবুব চৌধুরী (১৮) ও সাইদুর রহমান সাদ (১৩) ছাড়া কোন ব্যাটসম্যানই পাননি দুই অংকের দেখা। ১৬.৫ ওভারে ৬৬ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় দলটি। দুটি করে উইকেট পান ইন্দিরা রোডের চারজন বোলার।

রান তাড়াটা অবশ্য খুব একটা সহজ হয়নি ইন্দিরা রোডের জন্য। সর্বোচ্চ ২২ রান করা সাব্বির হোসেনের বিদায়ের পর তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৩। সেখান থেকে রেজাউল হক রাজীবের ১৬ আর সিফাত ইসলাম মিমের অপরাজিত ১০ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটের জয় পায় ইন্দিরা রোড। কলাবাগানের লাকাতুজ্জামান ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

বিকেএসপি-এক্সিয়ম

ওপেনার আশিকুজ্জামানের অপরাজিত ৭৭ এবং টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটসম্যানদের প্রচেষ্টায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বিকেএসপি। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১৬২ রান।

৯টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা আসে আশিকুজ্জামানের ব্যাট থেকে। আরেক ওপেনার রাতুল খান ৩৩ বলে করেন ২৯ রান। উদ্বোধনী জুটিতেই এই দুজন তোলেন ৮৬। সিফাত সাদিক খান করেন ১১ বলে ২১ রান।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে এক্সিয়ম। ৫৬ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাদের ৮ ব্যাটসম্যান। 

তিনটি ছক্কা ও এক চারে ২৫ বলে ৩১ রান করা সাকিব আঞ্জুমের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান তোলা এক্সিয়ম ম্যাচ হারে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে। বিকেএসপির আব্দুল্লাহ আল বাবু ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।