তৃতীয় যুব ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। ফার্গুস লেম্যানের সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে নিউ জিল্যান্ড। সবশেষ ছয় যুব ওয়ানডেতে মাহমুদুলের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ৭৯ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
লিঙ্কনের বার্ট সাটক্লিফে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউ জিল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারে ওলি হোয়াইটকে কট বিহাইন্ড করেন তানজিম হাসান। এরপর থেকে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনেছেন লেম্যান। অন্য প্রান্তে কেউ দিতে পারেননি খুব একটা সঙ্গ। প্রথম নয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে বিশ পর্যন্ত যেতে পারেন কেবল জেস টাসকফ।
নবম উইকেটে কিছুটা সঙ্গ দেন হেইডেন ডিকসন। ১ ছক্কায় ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। লেম্যান ৫ ছক্কা ও ৭ চারে ১৩৩ বলে করেন অপরাজিত ১১৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক দাস, তানজিম ও হাসান মুরাদ নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় টানা তৃতীয়বারের মতো ব্যর্থ বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। পারভেজ হোসেনের ব্যর্থতায় সুযোগ পাওয়া অনিক সরকার শুরুতেই ফিরেন বাজে শটে কট বিহাইন্ড হয়ে।
তানজিদ হাসান ও মাহমুদুলের ব্যাটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ। শট খেলতে শুরু করেন মাহমুদুলও। আদিত্য অশোক ভাঙেন বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি। ৬৪ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৫ রান করে ফিরেন তানজিদ। আগের ম্যাচেও এই ওপেনার করেছিলেন ৬৫।
তৃতীয় উইকেট অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে দলকে জয়ের ঠিকানায় নিয়ে যান মাহমুদুল ও তৌহিদ হৃদয়। ৯৫ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল। ১২৮ রানের জুটিতে হৃদয়ের অবদান ৮ চারে ৫১।
একই ভেন্যুতে আগামী বুধবার হবে চতুর্থ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৫০ ওভারে ২৪২/৬ (হোয়াইট ৭, ভিশভাকা ১০,, লেম্যান ১১৬*, ক্লার্ক ৬, টাসকফ ২০, ম্যাকেঞ্জি ১০, সানডে ০, অশোক ১৪, ফিল্ড ৫, ডিকসন ২৩*; তানজিম ১০-১-৪৬-২, অভিষেক ১০-২-২৮-২, শরিফুল ১০-০-৪৪-১, শামিম ১০-০-৪৭-০, মুরাদ ১০-১-৫৬-২)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৬.৩ ওভারে ২৪৩/৪ (তানজিদ ৬৫, পারভেজ ১, মাহমুদুল ১০৩*, হৃদয় ৬১*; ক্লার্ক ৭-০-৪৬-১, অশোক ৭-০-৪০-১)
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী