এই মুহূর্তে টেস্টে সর্বকালের সেরা উইকেটশিকারী স্পিনারদের তালিকায় ছয়ে আছেন লায়ন। ৯১ টেস্টে নিয়েছেন ৩৬৩ উইকেট। তবে সাদা পোশাকে যতটা উজ্জ্বল, রঙিন পোশাকে ততটাই মলিন তার রেকর্ড।
৭ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন মোটে ২৯টি। তবে ওই ২৯ ম্যাচের ১৪টিই খেলেছেন এই বছর। ওয়ানডে ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পর আশা করছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চিত্রও বদলে দেওয়ার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কেবল দুটি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৬ সালে একটি, আরেকটি ২০১৮ সালে। ঝুলিতে মাত্র ১ উইকেট। ঘরোয়া পর্যায়ে ২০ ওভারের ক্রিকেটে পরিসংখ্যানটা অবশ্য এত বাজে নয়। ৪০ ম্যাচ খেলে ৪৯ উইকেট নিয়েছেন ওভারপ্রতি ৭.১৭ রান দিয়ে।
ঘরোয়াতে এই পারফরম্যান্স আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নতুন শুরু মিলিয়ে এখন লায়ন স্বপ্ন দেখছেন টি-টোয়েন্টিকে ঘিরে। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসছে অস্ট্রেলিয়াতেই। বিগ ব্যাশে লায়নের পারফরম্যান্স যথেষ্টই ভালো। নতুন বলে বল করেন প্রায়ই। রান খরচেও বেশ কৃপণ।
সব মিলিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জগত আরও বড় করতে চান লায়ন।
“অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আমি প্রতিটি সংস্করণেই খেলতে চাই এবং প্রতিটি সুযোগেই নিজের দাবি জানাতে চাই আমি। আমাকে শুধু নিশ্চিত করতে হবে যে আমি বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো করছি এবং ব্যাটিংয়ে উন্নতি করাটা ধরে রেখেছি।”
“ক্রিকেটের সব বিভাগেই আমি এখনও শিখছি। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাই, সেটি হবে স্বপ্নের মতো।”
“আমি সত্যি টি-টোয়েন্টি উপভোগ করি। আমি নিজেকে পুরোপুরি একজন আগ্রাসী স্পিনার বলে মনে করি।”