মাঠে স্টোকসের ‘সেরা দুই মুহূর্তের’ একটি

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেওয়া বাউন্ডারিটি কখনও ভুলবেন না বেন স্টোকস। ক্রিকেট মাঠে নিজের সেরা দুই মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারের পাশে রাখছেন হেডিংলি টেস্টে জয় এনে দেওয়া বাউন্ডারিকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2019, 08:18 PM
Updated : 25 August 2019, 10:11 PM

স্টোকসের ১৩৫ রানের অসাধারণ ইনিংসে ভর করে নিজেদের রান তাড়ার নতুন ইতিহাস গড়ে জিতেছে ইংল্যান্ড। ৩৫৯ রান তাড়ায় ১ উইকেটের জয়ে সমতা ফিরিয়েছে অ্যাশেজে।

ম্যাচ শেষে স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক স্টোকস জানান, সম্ভবত বিশ্বকাপ ফাইনালের সঙ্গে মেলে এই টেস্ট।

“ক্রিকেট মাঠে আমার সেরা দুই মুহূর্তের একটি এটি। অবিশ্বাস্য, এটা এমন কিছু যা আমি কখনও ভুলবো না। আমি নিশ্চিত না, এমন কিছু আর কখনও ঘটবে কী না।”

শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাক লিচ যখন উইকেটে গিয়েছিলেন, ইংল্যান্ডের জিততে তখনও প্রয়োজন ছিল ৭৩ রান। সেই প্রায় অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে ইংলিশরা ৬২ বলে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন শেষ জুটিতে। জুটিতে লিচের অবদান ১৭ বলে ১ রান, যে রানে সমতা আসে দুই দলের স্কোরে। এরপর স্টোকসের বাউন্ডারিতে অভাবনীয় এক জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

ওই সময়ে নিজেদের মধ্যে কি আলাপ হয়েছিল তাও ম্যাচ শেষে জানান স্টোকস।

“লিচি যখন এলো তখন এটা বেশ পরিষ্কার ছিল যে, কী করতে হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, ‘পাঁচ ও এক’-আমি পাঁচ বল খেলবো, তুমি একটা।’ …লিচি এমনটা আগেও করেছে। সে দারুণ একজন নাইটওয়াচম্যান, সে ৯২ রান করেছিল।”

স্নায়ুচাপ পেয়ে বসায় শেষ দিকে লিচের ব্যাটিংও দেখছিলেন না বলে জানান স্টোকস।

“কি ঘটে, স্রেফ এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম আমি।”

পায়ে চোট নিয়ে খেলতে হয়েছিল স্টোকসকে। অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে এ ছাড়া উপায় ছিল না এই অলরাউন্ডারের।

“অ্যাশেজে টিকে থাকতে আমাদের এই ম্যাচ জিততেই হতো। আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। … আমরা নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।”