ফাইনালে বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আধিপত্য ধরে রাখল বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে আবারও ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে শীর্ষে থেকে পৌঁছে গেল ফাইনালে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে জেসন হোল্ডারের দলকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা করেছিলেন বোলাররা। অ্যাশলি নার্সের অফ স্পিনে মাঝে একটু ছন্দ পতন হলেও সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ। ২৪৮ রানের লক্ষ্য ১৬ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা। প্রথম দেখায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচে ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৪৭/৯ (হোপ ৮৭, আমব্রিস ২৩, ব্রাভো ৬, চেইস ১৯, কার্টার ৩, হোল্ডার ৬২, অ্যালেন ৭, নার্স ১৪, রিফার ৭, রোচ ৩*, কটরেল ৮*; আবু জায়েদ ০/৫৬, মাশরাফি ৩/৬০, মিরাজ ১/৪১, মুস্তাফিজ ৪/৪৩, সাকিব ১/২৭, সৌম্য ০/১৫)
বাংলাদেশ: ৪৭.২ ওভারে ২৪৮/৫ (তামিম ২১, সৌম্য ৫৪, সাকিব ২৯, মুশফিক ৬৩, মিঠুন ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ৩০*, সাব্বির ০*; রোচ ১/৪৬, কটরেল ০/৩৮, নার্স ৩/৫৩, চেইস ০/২৪, অ্যালেন ০/১১, হোল্ডার ১/৪৩, রিফার ০/৩১)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।
দলকে জয়ের কাছে নিয়ে ফিরলেন মুশফিক
দলকে জয়ের কাছে নিয়ে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। কেমার রোচকে স্কুপ করে ফাইন লেগে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন এই কিপার ব্যাটসম্যান। ৭৩ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৬৩ রান করেন মুশফিক।
তিনি ফেরার সময় ৪৬.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৪০/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী সাব্বির রহমান।
বাংলাদেশের দুইশ
জেসন হোল্ডারকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ রানে নিয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০তম ওভারের শেষ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিল তাদের রান।
ভালো শুরুর পর তিন বলের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দলকে টানেন মুশফিকুর রহিম। মিডল অর্ডারের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
এই ওভারের শেষ বলে কট বিহাইন্ড হতে হতে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি কিপার শেই হোপ। সে সময় ১০ রানে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
৩৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৪/৪। মুশফিক ৪১ ও মাহমুদউল্লাহ ১১ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১১ ওভারে ৪৪ রান প্রয়োজন তাদের।
মিঠুনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন হোল্ডার
মোহাম্মদ মিঠুনকে শুরুতে ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করা জেসন হোল্ডারই তাকে বিদায় করলেন বোল্ড করে।
ফুল লেংথ বল পা বাড়িয়ে কাভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মিঠুন। সুইং করে ভেতরে বল তার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্পস। ৫৩ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৪৩ রান করে ফিরে যান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ভাঙে ৮৩ রানের জুটি।
৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯১/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য শেষ ১৩ ওভারে ৫৭ রান চাই তাদের।
মুশফিক-মিঠুন জুটিতে পঞ্চাশ
চাপে পড়া দলকে পথ দেখাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। দিক হারানো দলকে কক্ষপথে ফেরানোর কাজটা অনেক দিন ধরেই করছেন মুশফিক, ইদানিং এ কাজে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন মিঠুনও।
রেমন রিফারের বলে পুল করে মিঠুনের চারে চতুর্থ উইকেট জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে। ডিপ স্কয়ার লেগে কেমার রোচ ফ্লাইট বুঝতে না পেরে ক্যাচে হাতই ছোঁয়াতে পারেননি। বেঁচে যান ব্যাটসম্যান, পেয়ে যান বাউন্ডারি।
৬৩ বলে আসে জুটির পঞ্চাশ। আট ইনিংসে এটি তাদের তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। আগের দুইবারই ছুঁয়েছিলেন তিন অঙ্ক।
৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬২/৩। মুশফিক ২৬ ও মিঠুন ২৯ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৮ ওভারে আরও ৮৬ রান চাই তাদের।
হোল্ডারের ব্যর্থতায় বেঁচে গেলেন মিঠুন
জীবন পেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। জেসন হোল্ডারের ব্যর্থতায় রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গেলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে রিভার্স সুইপ করেন মিঠুন। বলা যায় শর্ট থার্ডম্যান ফিল্ডার হোল্ডারের কাছে। শট খেলে রানের জন্য ছুটেছিলেন ব্যাটসম্যান, তাকে ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় ক্রিজে পড়ে যান মিঠুন। তাকে রান আউট করার প্রচুর সময় ছিল ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের হাতে। কিন্তু তিনি তাড়াহুড়া করে অনেক উপর দিয়ে থ্রো করেন। বেঁচে যান মিঠুন। সে সময় আট রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৯/৩। মিঠুন ৮ ও মুশফিক ৫ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২৬ ওভারে ১২৯ রান চাই তাদের।
ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকেই ফেরালেন অ্যাশলি নার্স। সাকিব আল হাসানকে ফেরানোর এক বল পর তুলে নিলেন সৌম্য সরকারের উইকেট।
অফ স্টাম্পের বাইরের বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন সৌম্য। শর্ট মিডউইকেটের ফিল্ডারকে পার করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন সুনিল আমব্রিস। ৬৭ রানে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৪ রান করে ফিরেন সৌম্য।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৮/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।
সাকিবকেও ফেরালেন নার্স
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জুটি ভাঙলেন অ্যাশলি নার্স। টানা বোলিং করে যাওয়া অফ স্পিনার ফিরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসানকে।
নার্সের বল বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে এগিয়ে আসতে দেখি বলের লেংথ পাল্টে দেন নার্স। তবুও শট খেলেন সাকিব, শর্ট কাভারে ধরা পড়েন রোস্টন চেইসের হাতে। ৩৫ বলে তিন চারে ২৯ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক।
বাংলাদেশের একশ
নবম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া বাংলাদেশের রান তিন অঙ্কে গেল ২০তম ওভারের শেষ বলে। রোস্টন চেইসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে শতরানে নিয়ে যান সাকিব আল হাসান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর একটু ভাটা পড়েছে রানের গতিতে। দুই অফ স্পিনার অ্যাশলি নার্স ও রোস্টন চেইসের বলে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে সাকিব ও সৌম্য সরকারকে।
২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০১/১। সৌম্য ৫৩ ও সাকিব ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
আঁটসাঁট বোলিংয়ে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখা অ্যাশলি নার্স একটুর জন্য পেলেন না উইকেট। এই অফ স্পিনারের বলে সৌম্য সরকারের ক্যাচ ছেড়েছেন কেমার রোচ।
নার্সকে বেরিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন সৌম্য। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ক্যাচ যায় মিডউইকেটে রোচের কাছে। মুঠোয় নিতে পারেননি তিনি। সে সময় ৫১ রানে ব্যাট করছিলেন সৌম্য।
১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৫/১। সৌম্য ৫২ ও সাকিব আল হাসান ২০ রানে ব্যাট করছেন।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সৌম্যর ফিফটি
ছন্দে ফেরা সৌম্য সরকার তুলে নিলেন ফিফটি। টুর্নামেন্টে তার দ্বিতীয়, ক্যারিয়ারে নবম।
অ্যাশলি নার্সের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন সৌম্য। ৫৯ বলে ফিফটিতে যেতে চারটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান সৌম্য। সিরিজে দুই দলের প্রথম দেখায় বাঁহাতি এই ওপেনার করেছিলেন ৭৩ রান।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮৯/১। সৌম্য ৫০ ও সাকিব আল হাসান ১৬ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩৩ ওভারে আরও ১৫৯ রান চাই তাদের।
বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন তামিম
পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে আসা অ্যাশলি নার্স ভাঙলেন শুরুর জুটি। বোল্ড করে তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দিলেন এই অফ স্পিনার।
নবম ওভারের প্রথম দুই বলে এসেছিল দুটি বাউন্ডারি। চতুর্থ বলটি বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। বলের লাইনে যেতে পারেননি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্টাম্পে।
২৩ বলে চারটি চারে ২১ রান করে ফিরে যান তামিম। ভাঙে ৫৪ রানের জুটি।
নবম ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৪/১। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
তামিম-সৌম্য জুটিতে পঞ্চাশ
আগের ম্যাচে শতরানের উদ্বোধনী গড়া দুই ব্যাটসম্যান এবারও ভালো শুরু এনে দিয়েছেন দলকে। নবম ওভারে ৫০ বলে এসেছে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার জুটির পঞ্চাশ।
জুটি বেঁধে ৩০ ইনিংসে এটি তাদের চতুর্থ ফিফটি জুটি। তাদের শতরানের জুটি আছে পাঁচটি।
সাবধানী তামিম, আত্মবিশ্বাসী সৌম্য
বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন দুই ওপেনার। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করছেন তামিম, রানের চাকা সচল রেখেছেন সৌম্য।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫/০। ওয়েস্ট ইন্ডিজও প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রান তুলে ছিল।
১৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ২৭ রানে ব্যাট করছেন সৌম্য। ফ্রি-হিটে একটি বাউন্ডারি হাঁকানো তামিম ১২ বলে ৬ রানে খেলছেন।
বাংলাদেশের সামনে ২৪৮ রানের লক্ষ্য
শেই হোপ ও জেসন হোল্ডারের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফিফটি করা দুই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে চিত্রটা পাল্ট দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নিলেন চার উইকেট। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আঁটসাঁট বোলিং করে গেলেন সাকিব আল হাসান। তাতে হাতের নাগালে লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ।
হোপের ৮৭ ও হোল্ডারের ৬২ রানের ওপর ভর করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের এলোমেলো করে দেওয়া মাশরাফি ৩ উইকেট নেন ৬০ রানে। মুস্তাফিজ ৪৩ রানে নেন ৪ উইকেট। সাকিব মাত্র ২৭ রান দিয়ে নেন একটি। অভিষেকে উইকেটশূন্য পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৪৭/৯ (হোপ ৮৭, আমব্রিস ২৩, ব্রাভো ৬, চেইস ১৯, কার্টার ৩, হোল্ডার ৬২, অ্যালেন ৭, নার্স ১৪, রিফার ৭, রোচ ৩*, কটরেল ৮*; আবু জায়েদ ০/৫৬, মাশরাফি ৩/৬০, মিরাজ ১/৪১, মুস্তাফিজ ৪/৪৩, সাকিব ১/২৭, সৌম্য ০/১৫)
মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকার রিফার
অভিষেকে ব্যাটিংয়ে বেশি কিছু করতে পারলেন না রেমন রিফার। অলরাউন্ডারকে এলবিডব্লিউ করে নিজের চতুর্থ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজ।
বাঁহাতি এই পেসারের গতিময় বল মিডউইকেটে ঘুরাতে চেয়েছিলেন রিফার। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তিনি। ১২ বলে রিফার করেন ৭ রান।
৪৯ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২৩৬/৯। ক্রিজে কেমার রোচের সঙ্গী শেলডন করটেল।
মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার নার্স
নিজের শেষ ওভারে উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরিয়ে দিলেন দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা অ্যাশলি নার্সকে।
মুস্তাফিজের স্লোয়ার বুঝতে পারেননি নার্স। বল উঠে যায় অনেক উপরে। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান। ১২ বলে এক চারে ১৪ রান করে ফিরেন নার্স।
অ্যালেনকে ফেরালেন সাকিব
দারুণ বোলিং করা সাকিব আল হাসান উইকেট পেলেন নিজের শেষ ওভারে। এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দিলেন অলরাউন্ডার ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে।
অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি অ্যালেন। একটু সময় নিয়ে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৯ বলে এক চারে ৭ রান করে ফিরেন অ্যালেন।
৪৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২১১/৭। ক্রিজে রেমন রিফারের সঙ্গী অ্যাশলি নার্স।
আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১০ ওভারে ২৭ রানে ১ উইকেট নেন সাকিব।
ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
টানা দুই ওভারে আঘাত হানলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শেই হোপকে ফেরানোর পর এবার বিদায় করলেন জেসন হোল্ডারকে।
৪৪তম ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়কের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করার চেষ্টায় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৭৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে ফিরেন হোল্ডার।
৪৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২০৭/৬। ক্রিজে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের সঙ্গী অভিষিক্ত রেমন রিফার।
চারে চার হলো না হোপের
শতরানের জুটি ভাঙলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফিরিয়ে দিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা চতুর্থ সেঞ্চুরির আশা জাগানো শেই হোপকে।
সুইং করে বেরিয়ে যাওয়া বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন হোপ। ঠিক মতো ব্যাটে খেলতে পারেননি। নিচের কানায় লেগে ক্যাচ জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ১০৮ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৮৭ রান করে ফিরেন হোপ। ভাঙে ১০০ রানের জুটি।
৪২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৯৯/৫। ক্রিজে জেসন হোল্ডারের সঙ্গী ফ্যাবিয়ান অ্যালেন।
হোপ-হোল্ডার জুটিতে একশ
চাপে পড়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছেন শেই হোপ ও জেসন হোল্ডার। দলকে উপহার দিয়েছেন শতরানের জুটি।
৬৬ বলে এসেছিল জুটির পঞ্চাশ, একশ হয় ১১২ বলে। জুটিতে অগ্রণী অধিনায়ক হোল্ডার। রানের গতিতে দম কাজটা করেছেন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রেখে এগিয়ে যাচ্ছেন হোপ।
ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
একশ রানের নিচে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টানছেন জেসন হোল্ডার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
৪১তম ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে দুই রান নিয়ে পঞ্চাশে পৌঁছান হোল্ডার। ৬৭ বলে ফিফটিতে যেতে তিনটি চার হাঁকান এই অলরাউন্ডার।
হোপ-হোল্ডার জুটিতে পঞ্চাশ
পঞ্চম উইকেটে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলকে টানছেন শেই হোপ ও জেসন হোল্ডার। ৬৬ বলে এসেছে তাদের জুটির ফিফটি।
জুটিতে অগ্রণী অধিনায়ক হোল্ডার। থমকে যাওয়া রানের গতি সচল করেছেন এই অলরাউন্ডার। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন হোপও।
৩৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৫২/৪। হোপ ৬৪ ও হোল্ডার ৩৫ রানে ব্যাট করছেন।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে হোপের ফিফটি
বাংলাদেশের বিপক্ষে সময়টা দারুণ কাটছে শেই হোপের। ক্যারিবিয়ান ওপেনার টানা চার ইনিংসে খেললেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৭১ বলে তুলে নিলেন ফিফটি, আগের তিন ইনিংসে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচে এটি হোপের তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। আগের তিন ম্যাচে করেছিলেন দুটি সেঞ্চুরি।
২৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১১১/৪। হোপ ৫১ ও জেসন হোল্ডার ৮ রানে ব্যাট করছেন।
খেই হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের একশ
দশম ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। ক্যারিবিয়ানদের রান তিন অঙ্কে গেল ২৪তম ওভারে।
বাংলাদেশের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিং আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুত উইকেট হারানোর প্রভাবে কমেছে রানের গতি। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানছেন শেই হোপ, অন্য প্রান্তে বেশিক্ষণ টিকছেন না কেউ।
২৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১০০/৪। হোপ ৪৭ ও জেসন হোল্ডার ১ রানে ব্যাট করছেন।
মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার কার্টার
দুই প্রান্তেই আঁটসাঁট বোলিংয়ে থমকে গেছে রানের গতি। প্রথম এগারো ডট বল খেলে মাত্রই রানের দেখা পেয়েছিলেন জোনাথন কার্টার। তবে তাকে টিকতে দিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান।
২৪তম ওভারে বাঁহাতি পেসারের স্কিড করে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি কার্টার, আঘাত হানে প্যাডে। জোরালো আবেদনে একটু দেরিতে সাড়া দেন আম্পায়ার। ১৪ বলে তিন রান করে ফিরে যান কার্টার।
চেইসকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আঘাত হানলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিলেন রোস্টন চেইসকে।
মুস্তাফিজের অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন চেইস। একটু আগেভাগে শট খেলে ফেলায় টাইমিং করতে পারেননি। মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ যায় মাহমুদউল্লাহর হাতে। ৩৬ বলে দুই চারে ১৯ রান করে ফিরেন চেইস।
২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৮৯/৩। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী জোনাথন কার্টার।
মিরাজই ফেরালেন ব্রাভোকে
বাজে সময় কাটানো ড্যারেন ব্রাভো কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। যিনি জীবন দিয়েছিলেন সেই মেহেদী হাসান মিরাজই ফেরালেন ক্যারিবিয়ান বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে।
নিজের তৃতীয় ওভারে উইকেট পেলেন মিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে স্পিন করে ভেতরে ঢোকা বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি ব্রাভো। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার।
৫ রানে জীবন পাওয়া ব্রাভো ফিরেন ১৩ বলে ৬ রান করে। ১১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫৭/২। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী রোস্টন চেইস।
ব্রাভোকে জীবন দিলেন মিরাজ
হাতছাড়া হয়ে গেল একটি সুযোগ। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ড্যারেন ব্রাভোকে জীবন দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দশম ওভারে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন ব্রাভো। টাইমিং করতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, বল উঠে যায় অনেক উপরে। বলের নিচে যেতে যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন পয়েন্টের ফিল্ডার মিরাজ। তবুও যেতে পারেননি জায়গা মতো, শেষ সময়ে ডাইভ দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন বল মুঠোয় নিতে। তবে বলের নাগালই পাননি তিনি। সে সময় পাঁচ রানে ছিলেন ব্রাভো।
১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫৫/১। ব্রাভো ৬ ও শেই হোপ ২৫ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম আঘাত মাশরাফির
দ্রুত এগোনো সুনিল আমব্রিসকে থামালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ষষ্ঠ ওভারে অধিনায়কের বলে স্লিপে ডানহাতি ওপেনারের চমৎকার এক ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার।
সুইং করে ভেতরে ঢোকা বল কাট করতে চেয়েছিলেন আমব্রিস। শরীরের বেশি কাছে থাকা বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি। সুযোগ এসে যায় স্লিপে দাঁড়ানো সৌম্যর সামনে। ঝাঁপিয়ে দুই হাতে ক্যাচ তালুবন্দি করেন তিনি।
১৯ বলে চারটি চারে ২৩ রান করে ফিরেন আমব্রিস। ভাঙে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। ক্রিজে শেই হোপের সঙ্গী ড্যারেন ব্রাভো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো শুরু
সুনিল আমব্রিস ও শেই হোপের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করা আমব্রিস সেদিন যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হোপ যথারীতি এগোচ্ছেন সতর্ক ব্যাটিংয়ে।
৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৩৫/০। এই সময়ে ১৫ বলে চার বাউন্ডারিতে আমব্রিস করেছেন ২২ রান। হোপ দুই চারে ১৫ বলে করেছেন ১২।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে এক পরিবর্তন
গতিময় পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের জায়গায় অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার রেমন রিফারের। ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: শেই হোপ, সুনিল আমব্রিস, ড্যারনে ব্রাভো, রোস্টন চেইস, জোনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডার, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, রেমন রিফার, অ্যাশলি নার্স, কেমার রোচ, শেলডন কটরেল।
সাইফ উদ্দিনের জায়গায় আবু জায়েদ
অনুশীলনের সময় পাওয়া চোটের জন্য খেলা হচ্ছে না পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের। অভিষেক হচ্ছে বিশ্বকাপ দলে থাকা পেসার আবু জায়েদ চৌধুরীর। বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন এই একটি।
পাঁচটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলা আবু জায়েদ লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫৫ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। সেভাবে আলোচনায় না থাকা ২৫ বছর বয়সী এই পেসার দলে জায়গা পান সুইং বোলিংয়ে দক্ষতার জন্য। সাইফের চোটে সুযোগ পেলেন নিজের সামর্থ্য দেখানোর।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী।
ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড
গত কিছু দিনের মধ্যে সেরা আবহাওয়ায় হচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচ। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও।
ফাইনাল নিশ্চিতের লক্ষ্য বাংলাদেশের
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আধিপত্য ধরে রাখার সঙ্গে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ৮ উইকেটে হারায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের পরের ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
সোমবার ডাবলিনে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে চারটায়।
গত বছর দেশে ও ক্যারিবিয়ানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুটি ওয়ানডে সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ মিলিয়ে জেতে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে। দাপট ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে নামবে তারা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইরিশদের ১৯৬ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে পরের দেখায় নিজেদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতে নিশ্চিত করে ফাইনাল।