দিন দুয়েক আগে অবশ্য এতটা স্বস্তিতে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। নিউ জিল্যান্ড সফরে থাকার সময়ই তীব্র ব্যথা অনুভব করেছিলেন কাঁধে। এমআরআই করিয়েছিলেন। গত সোমবার সেই স্ক্যানের রিপোর্ট পাওয়া যায় হাতে, দেখা যায় ‘গ্রেড-৩ টিয়ার’। বেশ ভড়কে যান মাহমুদউল্লাহ। চোট এই মাত্রায়, তা ধারণাও করতে পারেননি নিজে।
তবে পরে বিসিবির চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেন মাহমুদউল্লাহকে। ‘গ্রেড-৩ টিয়ার’ শুনলে যতটা মনে হয়, ব্যাটসম্যানদের জন্য ততটা গুরুতর নয় এই চোট। অনেক সময় এই চোট নিয়ে ম্যাচও খেলা যায়, তবে শতভাগ দেওয়া সম্ভব হয় না। মূলত বিশ্বকাপের আগে বলেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে জানালেন, এখন আর ভয় নেই।
“শুরুতে একটু টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। ভাবিনি এই অবস্থা কাঁধের। পরে জানলাম যে খুব দুর্ভাবনার কিছু নেই। ব্যাটিং করতে সমস্যাও নেই। শুধু বোলিং করতে পারব না আপাতত। রিহ্যাব প্ল্যান করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী রানিং, জিম করছি। দুয়েকদিনের মধ্যে ব্যাটিং অনুশীলনও করব।”
এই ব্যথা বেশ কয়েক মাস থেকেই বয়ে বেড়াচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। নিউ জিল্যান্ড সফরে এটি আরও বাড়ে। প্রথম টেস্টে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়েই এক ওভার বোলিং করে একটি উইকেট নেন। কিন্তু গোটা সিরিজে আর এক ওভারও বোলিং করতে পারেননি।
সবশেষ যখন ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন, সমস্যা অনুভব করেননি তখনও। বোলিং আর থ্রো করায় যেহেতেু ঝুঁকি আছে, সেজন্যই সতর্কতা হিসেবে খেলছেন না ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। পুনবার্সনের মাধ্যমেই চোট ঠিক হয়ে যাবে, আশা তার। এর পরও, বিশ্বকাপ আসতে আসতে যদি কাঁধ বোলিংয়ে জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি না হয়? আবারও হাসিতে মাহমুদউল্লাহ দিলেন অভয়, “বিশ্বকাপে যে অবস্থাই থাকুক, যত ওভার প্রয়োজন হবে, করে দেব।”