সোহানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পেরে উঠল না খেলাঘর

ম্যাচের একমাত্র ফিফটিতে দলকে লম্বা সময় একাই বয়ে নিলেন রবিউল ইসলাম রবি। শেষ দিকে ছোট্ট ঝড়ো ইনিংস খেললেন মাসুম খান। কিন্তু পেরে উঠল না তাদের দল। নুরুল হাসান সোহান ও অন্য ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে যে উচ্চতায় উঠেছিল শেখ জামালের স্কোর, সেটি ছুঁতে পারল না খেলাঘর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2019, 10:57 AM
Updated : 25 Feb 2019, 10:57 AM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ১১ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামালের ১৬৯ রান তাড়ায় খেলাঘর থমকে যায় ১৫৮ রানে।

খানিকটা গুমোট আবহাওয়ায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামালের হয়ে একটু করে অবদান রাখেন সব ব্যাটসম্যানই।

ম্যাচের প্রথম ওভারেই রবিউল হককে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন ইমতিয়াজ হোসেন। ফারদিন হোসেনের সঙ্গে ইমতিয়াজের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ রান। ১৯ বলে ২১ রান করে ফেরেন ফারদিন। তিনে নেমে আগ্রাসী হাসানুজ্জামান সহজাত ব্যাটিংয়ে আরও বাড়ান রানের গতি। তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদকে টানা তিন বলে মারেন এক ছক্কা ও দুই চার। পরে পেসার মাসুম খানকেও ছক্কায় ওড়ান হাসানুজ্জামান।

নিজের প্রথম ওভারেই এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলাম। ১৩ বলে ২৬ রানে ফেরেন হাসানুজজ্জামান, ২৬ বলে ৩১ ইমতিয়াজ।

জোড়া ধাক্কার পর নাসির হোসেন ও সোহান সময় নেন খানিকটা। গড়ে তোলার চেষ্টা করেন জুটি। পরে মইনুলকে টানা দুই ছক্কায় হাত খোলেন নাসির।

সোহানের রান এক পর্যায়ে ছিল ১৮ বলে ১৬। শেষ দিকে তোলেন ঝড়। পেসার মাসুমকে স্লগ করে ছক্কার পর টানা দুটি ছক্কা মারেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামকে। মাঝে রবিউলের ওভারে দুটি চার।

২৭ বলে ৩৪ রান করে নাসিরের বিদায়ে ভাঙে ৬৫ রানের জুটি। ২৮ বলে ৪৩ করে সোহান বিদায় নেন শেষ ওভারে।

রান তাড়ায় খেলাঘরের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। রবি ও সাদিকুর রহমানের জুটিতে আসে ৪১ রান। ১৬ বলে ২১ রান করা সাদিকুরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম।

দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়েন রবি ও অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে রানের গতি খুব ভালো ছিল না। জুটিতে দুজন খেলেন ৫৯ বল।

৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬৯ করা রবিকে ফিরিয়ে জুটি থামান ইলিয়াস সানি। খেলাঘরের প্রয়োজন তখন ২৭ বলে ৫৫ রান।

৩ চার ও ১ ছক্কা মারলেও অঙ্কনের ৩৪ রান করে লেগে যায় ৩৪ বল। খেলাঘর পেছনে পড়ে যায় সেখানেই।

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। ১৯তম ওভারে বাঁহাতি পেসার সালাউদ্দিন সাকিলকে দুই চার ও ১ ছক্কা মেরে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান মাসুম খান। তবে শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি খেলাঘর।

প্রতিপক্ষের ৫ উইকেটের ৪টিই নিয়ে ম্যাচ সেরা পেসার শহিদুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শেখ জামাল: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ (ইমতিয়াজ ৩১, ফারদিন ২১, হাসানুজ্জামান ২৬, নাসির ৩৪, সোহান ৪৩, জিয়াউর ৯*, তানবীর ০*; রবিউল ৪-০-৩৫-১, রবি ১-০-১৩-০, ইফরান ৩-০-১৪-১, রিশাদ ১-০-১৭-০, তানভির ৪-০-৩০-১, মাসুম ৪-০-৩১-১, মইনুল ৩-০-২৬-২)।

খেলাঘর: ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (রবি ৬৯, সাদিকুর ২১, অঙ্কন ৩৪, মইনুল ৮, মাসুম ১৯*, রবিউল ১, রাফসান ২*; সাকিল ৪-০-২৮-০ শহিদুল ৪-০-৩৬-৪, শাহবাজ ২-০-১৬-০, নাসির ১-০-৭-০, সানি ৩-০-১৮-১, জিয়াউর ৪-০-৩৩-০, তানবীর ২-০-১৯-০)

ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ১১ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: শহিদুল ইসলাম