দুই দলের সামনে যেমন দ্বিতীয় শিরোপার হাতছানি, তেমনি দুই কোচও অপেক্ষায় দ্বিতীয়বার ট্রফির ছোঁয়া পাওয়ার। ২০১৫ বিপিএলে সালাউদ্দিনের কোচিংয়ে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা, ২০১৬ আসরে মাহমুদের কোচিংয়ে জিতেছিল ঢাকা। ২০১২ ২০১৩ বিপিএলে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি চ্যাম্পিয়ন হলেও মালিকানা বদলে ডায়নামাইটস নাম নেওয়ার পর ঢাকার শিরোপা ওই একটিই।
গত মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের শিরোপা জয়ী কোচ টম মুডি দায়িত্বে ছিলেন এবারও। আইপিএল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সফল কোচ তিনি, ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় তার চাহিদা প্রবল। খুলনা টাইটানসের কোচ ছিলেন মাহেলা জয়াবর্ধনে, সিলেট সিক্সার্সের ওয়াকার ইউনিস। কোচ হিসেবে পরিচিতি ও সাফল্য আছে এই দুজনেরও।
টুর্নামেন্টের পথচলায় ক্রমে ঝরে গেছেন তারা সবাই। শেষের লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন দেশের দুই কোচ।
দেশের কোচদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া, সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার ব্যাপারে বরাবরই উচ্চকিত সালাউদ্দিন। এবারের সাফল্যের পর কুমিল্লা কোচের আশা, সামনে দিনগুলিতে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর।
“আমি খুবই খুশি যে দুজন দেশি কোচের দল ফাইনাল খেলছে। আমি আশা করি, দেশের কোচদের অনেক লাভ হবে এতে। প্রথমবার যেভাবে শুরু হয়েছিল, এরপর আস্তে আস্তে দেশি কোচরা হারিয়ে যাচ্ছিল প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে। এমনকি সহকারী কোচ যারা ছিল, তাদেরও কাজের পরিধি কমে যাচ্ছিল। এবার যেহেতু আমরা দুই ফাইনালিস্ট দেশি, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা হয়ত পরবর্তীতে চিন্তা করবে আমাদের দেশি কোচদের আরেকটু সুযোগ দেয়া উচিত।”
“আমি সবসময় চাই আমাদের কোচরা যেন ভাল জায়গায় কাজ করে এবং শিখতে পারে। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সহকারী কোচও নাই দেশি। যদি দেশি কোচ থাকতো, তাহলে বিদেশি কোচদের কাছ থেকে তারা কিছু শিখতে পারত। এবারের অভিজ্ঞতায় পরবর্তীতে হয়ত ফ্র্যাঞ্চাইজিরা চিন্তা করবে সুযোগ দিলে দেশি কোচরাও ভাল করতে পারে।”
“জাতীয় দলের ব্যাপারটা একটু আলাদা। এখানে চাপ অনেক বেশি থাকে। তারপরও আস্তে আস্তে হয়ত এই চাপও আমাদের স্থানীয় কোচরা নিতে পারবে। আমি আশা করব যে, বয়সভিত্তিক দলগুলিতে, বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৭, ১৯ বা ‘এ’ দলে আমাদের স্থানীয় কোচদের সুযোগ দেয়া উচিত। আমরা সবসময় শুনে থাকি, আমরা পারব না, স্থানীয় কোচরা পারবে না। এটি আসলে ভুল ধারণা। আপনি যখন সুযোগ দেবেন, তখন হয়ত তারা ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে।”
“আমরা যে শিখেই আসব তা নয়, আমাদের শেখার সুযোগ দিতে হবে। সুযোগ না দিলে দেখাব কী করে! হয়তো প্রথমবার ব্যর্থ হতে পারি।...একজন ক্রিকেটারকে যেভাবে যেভাবে চেষ্টা করা হয় তার পারফরম্যান্সে উন্নতি করাতে, সেভাবে স্থানীয় কোচদের কিভাবে ওপরে নেওয়া যায়, সেদিকে বোর্ডের নজর রাখা উচিত।”