আগের দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। দুই ম্যাচেই দলের সেরা বোলার ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। কুমিল্লার কাছে সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮০ রানে হারের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা ব্র্যাথওয়েট জানান, তাইজুল বোলিং না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কেবল অধিনায়ক।
“আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না, কারণ আমি অধিনায়ক নই। আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন কে কেন বোলিং করেনি বা কে কেন ব্যাটিং করেনি আমি তার উত্তর দিতে পারবো না। কারণ, আমি দলের অধিনায়ক কিংবা কোচ নই।”
ব্র্যাথওয়েট জানান, কুমিল্লার ইনিংস দেখে ধারণা করতে পারছেন কেন তাইজুলকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক।
“আজ (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ চার ওভার বোলিং করেছে। ও আজকে ভালো করেছে। কুমিল্লার ইনিংসের সিংহভাগ জুড়ে ব্যাটিং করেছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা। ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা খুব একটা ব্যাটিং করেনি।
“এনামুল (হক) প্রথম বলেই অউট হয়েছে। (শহিদ) আফ্রিদি খেলেছে দুই বল। শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে এসে ১৫ বল খেলে শামসুর (রহমান)। আমি বলতে পারব না তাইজুল কেন বোলিং করেনি। তবে আমি দেখতে পাচ্ছি সে কেন বোলিং করেনি। অবশ্যই ছোট বাউন্ডারি আর দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ওর জন্য স্পিন করানো কঠিন বলে।”
বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেন অলিখিত নিয়ম, সীমতি ওভারের ক্রিকেটে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকলে বাঁহাতি স্পিনারকে বোলিংয়ে আনা যাবে না। তখন বোলিং করাতে হবে অফ স্পিনারকে দিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের এই কাণ্ডের উদাহরণ আছে। বিপিএলের গত আসরে দেখা গেছে এই চিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁহাতি এবার বোলিং পেলেন না তাইজুল।