‘স্নিকো, আলট্রা এজ আনতে অনেক টাকা লাগে’

রিভিউ পদ্ধতি রাখা হয়েছে, কিন্তু স্নিকোমিটার কিংবা আলট্রা এজ নেই। অদ্ভুত এই ডিআরএস (ডিসিশান রিভিউ সিস্টেম) দেখা যাচ্ছে এবার বিপিএলে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানালেন, স্নিকোমিটার যে থাকবে না, এটি আগেই জানানো হয়েছিল দলগুলিকে। কারণ এটি রাখতে খরচ হবে বেশি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2019, 02:19 PM
Updated : 6 Jan 2019, 02:19 PM

বিপিএলের গত আসরে ছিল না ডিআরএস। বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত হওয়ায় সেবার সমালোচনা হয়েছিল প্রবল। এবার ডিআরএস রাখা হলেও সেখানে নেই অন্যতম অপরিহার্য উপাদান স্নিকোমিটার কিংবা আলট্রা এজ। এতে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই দিনেই জন্ম হয়েছে অনেক বিতর্কের। হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাস্যরস।

রোববার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ের ম্যাচে স্টিভেন স্মিথের আউট নিয়ে হয়েছে বিতর্ক। কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউয়ে কুমিল্লা অধিনায়ককে আউট দেন তৃতীয় আম্পায়ার। কিন্তু স্নিকোমিটার বা আলট্রা এজ না থাকায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানোর শতভাগ প্রমাণ ছিল কিনা, উঠছে এই প্রশ্ন।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিন ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের মোহাম্মদ হাফিজের ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত বদলে যায় রিভিউয়ে। কিন্তু স্নিকোমিটার ছাড়া সেই সিদ্ধান্তে সংশয় ছিল আরও বেশি। কট বিহাইন্ড বা এলবিডব্লিউয়ের ক্ষেত্রে বল ব্যাটে লেগেছিল কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবে সংশয় জাগছে প্রতি ম্যাচেই কয়েকবার করে।

কুমিল্লাকে যেহেতু ভুগতে হয়েছে, কুমিল্লা-সিলেটের ম্যাচ শেষে ডিআরএসের এই ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। সালাউদ্দিন জানালেন, তাদের আগেই জানানো হয়েছিল এটি। তবে বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে এসব না থাকায় হতাশা জানালেন কুমিল্লা কোচ।

“এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছিল (টুর্নামেন্টের আগে)। স্নিকো ও আল্টা এজ আনতে অনেক টাকা লাগে। এটা হয়তো যারা করছে (প্রোডাকশন), তারা প্রোভাইড করেনি। এটা আমাদের সাথে আগেই কথা হয়েছে। এই কারণে আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু হক-আই থাকবে, অন্য কিছু থাকবে না, এটা আমাদের আগেই বলা হয়েছে।”

“আমরা বলেছিলাম তাহলে তো ডিআরএস থাকাতে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। শুধু লেগ বিফোরের ক্ষেত্রে হয়তো ঠিক সিদ্ধান্তটা আসছে, বাকিগুলোয় সংশয় থাকছেই। আমার মনে হয় এখন যে সময় এসেছে আমাদের, এগুলো আমাদের অবশ্যই থাকা উচিত। আমরা তো মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি, এখন এগুলো থাকাই উচিত।”