ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ৪২৩ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে ঘরে তুলেছে নিউ জিল্যান্ড। সঙ্গে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছে তিন নম্বরে।
ইনিংস ব্যবধানে ফল হয়নি এমন ম্যাচে রানের দিক থেকে নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ২৫৪ রানের। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই জয় পেয়েছিল তারা। ইনিংস ব্যবধানে ফল হয়নি এমন ম্যাচে রানের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় হারটি ছিল ভারতের বিপক্ষে। গত বছর লঙ্কানরা হেরেছিল ৩০৪ রানে।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা চারটি টেস্ট সিরিজ জিতল নিউ জিল্যান্ড। দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডকে হারানোর পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে।
হ্যাগলি ওভালে রোববার ৬ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে খেলা শুরু করা শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ২৩৬ রানে। আগের দিন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ব্যাটিংয়ে নামেননি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে অস্ট্রেলিয়া সফরে তার খেলা অনিশ্চিত।
দিনের তৃতীয় বলে সুরঙ্গা লাকমলকে বোল্ড করে ফেরান বোল্ট। পরের ওভারে দিলরুয়ান পেরেরাকে বিদায় করেন ওয়েগনার। দুশমন্থ চামিরাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের থামিয়ে দেন বোল্ট।
ওয়েগনার ৪ উইকেট নেন ৪৮ রানে। বোল্ট ৭৭ রানে নেন তিনটি।
ঝড়ো ৬৮ রান আর দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন টিম সাউদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৭৮
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১০৪
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৫৮৫/৪ ইনিংস ঘোষণা
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬৬০) (আগের দিন শেষে ২৩১/৬) ১০৬.২ ওভারে ২৩৬ (ম্যাথিউস আহত অনুপস্থিত ২২, পেরেরা ২২, লাকমল ১৮, চামিরা ৩, কুমারা ০*; বোল্ট ৩/৭৭, সাউদি ২/৬১, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/২৩, ওয়েগনার ৪/৪৮, প্যাটেল ০/২১)