গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে আঙুলের চোট নিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি। টুর্নামেন্ট চলার সময় হানা দেয় কুঁচকির চোট। সেটি নিয়েই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফাইনাল পর্যন্ত। করেছেন বোলিং।
ওই টুর্নামেন্টের পরও সঙ্গ ছেড়ে যায়নি সেই চোট। অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভুগিয়েছে প্রবলভাবে। যেটি প্রভাব ফেলেছিল মাশরাফির বোলিংয়েও। প্রতিপক্ষকে হোয়াইওয়াশ করায় নেতৃত্ব দিলেও তার নিজের বোলিং ছিল না সেরা চেহারায়।
ওই সিরিজের পর বিশ্রাম নিয়েছেন লম্বা সময়। কিন্তু কুঁচকির সেই চোট পুরো ঠিক হয়নি এখনও। উল্টো সিরিজের আগে অনুশীলনের সময় টান লেগেছে হ্যামস্ট্রিংয়ে। সেই দুই চোট নিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করলেন। নিজের ২০০তম ওয়ানডে স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যাচ সেরা হয়ে। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নেতৃত্ব দিলেন সামনে থেকে।
বিবর্ণ আগের সিরিজের পর বোলিংয়ে পুরোনো ধার দেখা গেল আবারও। তবে ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানালেন, বোলিং ভালো হলেও ভালো নেই তার শরীর।
“ইনজুরি জিম্বাবুয়ে সিরিজে যেটা ছিল, সেটি আসলে এখনও ক্যারি করছি। তিন উইকেট পেয়েছি বলেই যে সেরা অবস্থায় আছি, এমন নয়। সঙ্গে আরও একটি ইনজুরি যোগ হয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ের। আগে যেটা ছিল না। শারীরিকভাবে যে জিম্বাবুয়ে সিরিজের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি, এমন নয়।”
তবে আশার কথা, চোট নিয়ে খেললেও এই ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বাড়েনি আর। পরের ম্যাচ খেলা নিয়ে খুব সংশয় আছে বলেও মনে হচ্ছে না।
“আজকে শেষ পর্যন্ত ফিটনেস টেস্ট দেইনি। কারণ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম খেলতে। এখনও পর্যন্ত একই অবস্থায় আছে ইনজুরি।”