চট্টগ্রামে খুব ভালো বোলিং করলেও উইকেট বেশি পাননি মিরাজ। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন তিন উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে এই অফ স্পিনারই ছিলেন মূল ঘাতক।
স্পিন চতুষ্টয়ের দুই জন বাঁহাতি স্পিনার, দুই জন অফ স্পিনার। অন্য অফ স্পিনারের সঙ্গে কি একটা প্রতিযোগিতা চলে মিরাজের? চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে পাঁচ উইকেট নেওয়া নাঈম হাসানের পারফরম্যান্সে কি নিজের ওপর চাপ অনুভব করেন মিরাজ? সংবাদ সম্মেলনের পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যেতে যেতে তরুণ এই অফ স্পিনার দিলেন তার জবাব।
“নাঈমের পারফরম্যান্সে আমি কোনো চাপ অনুভব করি না। বরং ও ভালো করেছে বলে আমার নিজেরও খুব ভালো লেগেছে। ও বোলিংয়ে ভালো করায় বরং আমার জন্য একটু লাভই হচ্ছে, আমি এখন ব্যাটিংয়েও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি।”
“আমি চাই নাঈম এই ছন্দটা ধরে রাখুক। ও কিংবা অন্য কেউ যখন ভালো করে তখন কিন্তু দিন শেষে বাংলাদেশ দলেরই লাভ হয়। আমার কাছে সব সময় দলই আগে।”
স্টেডিয়ামের পাশে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন তামিম। ম্যাচের শেষ দিকে এই ওপেনার আসেন ড্রেসিং রুমে। দলের জয়ের পর দাঁড়িয়েছিলেন প্যাভিলিয়নের সামনে। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার দিকে ছুটে আসার পেছনের গল্পটা বললেন মিরাজ।
“চট্টগ্রাম টেস্টের পর মন একটু খারাপ ছিল। ভাইয়ের সঙ্গে তখন ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয়। উনি আমাকে আত্মবিশ্বাস না হারানোর কথা বলেন।”
“তামিম ভাই বলেছিলেন, ‘তুই কেমন বোলার এটা আমরা সবাই জানি। এখন পর্যন্ত কোথায় কেমন পারফরম্যান্স করেছিস সবাই জানে। তোর সামর্থ্য আমরা জানি। চট্টগ্রামে খুব ভালো বোলিং করেছিস, এটা ধরে রাখ।’ তার কথা আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।”
ঢাকা টেস্টে ইনিংস ও ১৮৪ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। ১১৭ রানে ১২ উইকেট নিয়ে মিরাজ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।