ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি স্পিনারের মতে, স্বাগতিকদের ইনিংসের লেজ দ্রুত ছেটে দিতে পারলে প্রথম দিনে এগিয়ে থাকতেন তারাই।
চট্টগ্রাম টেস্টে এক সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২২২। গ্যাব্রিয়েলের ছোবলে দিক হারানো স্বাগতিকরা ২৩৫ রানে হারিয়ে ফেলে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানকে। সেখান থেকে তাইজুল-নাঈমের বীরোচিত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩১৫ রানে প্রথম দিন শেষ করে তারা।
অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করা তাইজুল ৩২ ও নাঈম ২৪ রানে ব্যাট করছেন। বৃহস্পতিবারের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা ওয়ারিক্যান মনে করেন, নবম উইকেট জুটির প্রতিরোধ দ্রুত ভাঙতে পারলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতো।
“অবশ্যই বাংলাদেশ চা-বিরতি পর্যন্ত চালকের আসনে ছিল। দারুণ এক স্পেলে দ্রুত চার উইকেট তুলে নিয়ে শ্যানন আমাদের ম্যাচে ফেরায়। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওরা দল হিসেবে শেষটা ভালো করেছে। মোমেন্টাম এখন বাংলাদেশের দিকে।”
১৩ রানের মধ্যে সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক এবং মিডল অর্ডারের তিন ভরসা মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানকে ফেরান গ্যাব্রিয়েল। ওয়ারিক্যান মনে করেন, সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের জন্য উইকেট পেয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।
“আমার মনে হয়, শ্যাননের গতি ওর জন্য খুব ভালো কাজ করেছে। ও ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। সে এমন একজন বোলার নয় যে শুধু গতির ঝড় তুলতে পারে, শ্যানন একই সঙ্গে খুব সুশৃঙ্খল বোলিংও করে। এটা একজন পেসারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশকে দ্রুত থামাতে পারলে প্রথম ইনিংসে বড় লিডের ভালো সম্ভাবনা দেখেন ওয়ারিক্যান।
“অবশ্যই আমরা দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দিতে চাই। আগামী কাল ওরা লম্বা সময় ব্যাটিং করুক আমরা কোনোভাবেই চাই না। যদি ওদের দ্রুত থামাতে পারি আশা করি আমরা ভালো লিড নিতে পারব।”