সাকিবের অপেক্ষায় নেট প্রস্তুত ছিল অনেকক্ষণ ধরেই। রোববার সকালে চট্টগ্রামে এসেছে বাংলাদেশ দলের প্রথম ভাগ। দ্বিতীয় ভাগে ক্রিকেটারদের মধ্যে দুপুরে এসেছেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। এই দুজন বিমানবন্দর থেকে সরাসরিই চলে এসেছেন মাঠে, ততক্ষণে অন্যদের নেট সেশন শেষ।
ড্রেসিং রুমের সিড়ি বেয়ে সাকিব মাঠে নামতেই বেশ তৎপর হয়ে উঠলেন স্টিভ রোডস। চিৎকার করে সাকিবকে ডেকে বললেন দ্রুত নেটে নেমে যেতে। পেস বোলিং খেলা দিয়ে শুরু ব্যাটিং। মুস্তাফিজ ও আরিফুল হকের পাশাপাশি নেট পেসারদের খেললেন সাকিব। পরে আরেক নেটে মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনের সঙ্গে খেললেন নেট স্পিনারদের। শুধু নক করাই নয়, পুরো দমে ব্যাটিংয়েরই চেষ্টা করেছেন সাকিব। খেলেছেন সব ধরনের শট। উড়িয়ে মারা বেশ কিছু শটে হয়তো বোঝার চেষ্টা করেছেন আঙুলের জোর কতটা ফিরল।
খানিক পর আবার ডাক পেলেন কোচের। এবার অধিনায়ককে নিয়ে কোচ চলে গেলেন মাঠের মাঝে, উইকেট দেখতে। কিউরেটরকে নিয়ে দীর্ঘসময় চলল উইকেট নিয়ে আলোচনা। সেখান থেকে ফিরে আবার নেটে বোলিং। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল বলেই হয়তো শেষ পর্যন্ত ক্ষান্তি দিলেন।
নেটে সাকিবের ব্যাটিং যা দেখলেন, তাতে দারুণ সন্তুষ্ট মনে হলো রোডসকে। অধিনায়ক সাকিবের কৌশলগত দিক নিয়ে মুগ্ধতার কথা আগেও বারবার বলেছেন বাংলাদেশ। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রোডস অধিনায়ককে ফিরে পাওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।
“ওর আঙুলের অবস্থা এখন মনে হচ্ছে বেশ ভালো। আজকে ৪৫ মিনিট লম্বা নেট সেশন কাটিয়েছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো মনে হচ্ছে অবস্থা।”
আঙুলের চোটের কারণে দেশের মাটিতে সবশেষ দুটি টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি সাকিব। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবার চট্টগ্রাম টেস্টে টস করতে নামলে, এটিই হবে এই দফায় নেতৃত্ব পাওয়ার পর দেশের মাটিতে অধিনায়ক সাকিবের প্রথম টেস্ট।