পাঁজরের ব্যথার সঙ্গে এবার মুশফিকের লড়াই প্রথম ম্যাচ থেকেই। পুরোনো ব্যথাটা মাথাচাড়া দেয় আবার। সেটি নিয়েই প্রথম ম্যাচ খেলেছেন ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস। পরের প্রতিটি ম্যাচে এই ব্যথা নিয়েই করে যাচ্ছেন কিপিং ও ব্যাটিং।
বুধবার পাকিস্তানকে বিদায় করে দেওয়ার ম্যাচে আবার ব্যাট হাতে খেলেছেন ৯৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। পাঁজরের ব্যথা এই ম্যাচেও ভুগিয়েছে তাকে বেশ। এরপর কিপিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে সরফরাজ আহমেদের ক্যাচটি নেন ডাইভ দিয়ে। মাটিতে ধপাস পড়ে তখন আবার ব্যথা পান পাঁজরে। পরে ব্যথা নিয়ে ছাড়েন মাঠ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানালেন, ফাইনালে চোখ রেখেই এ দিন নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানাননি তিনি।
“ক্যাচটা নেওয়ার পর আমার পাঁজরে একটু ব্যথা করছিল। আর ব্যাটিংয়ের সময় পায়ে ক্র্যাম্প করছিল, হ্যামস্ট্রিংয়ে লাগছিল। এজন্য ঝুঁকি নিতে চাইনি। কারণ একদমই ছিটকে গেলে, দল ফাইনালে গেলে, তখন বিপদে পড়ে যেতাম। পরের ম্যাচটা খেলা কঠিন হতো।”
“আমি চেষ্টা করছিলাম যতটা পারা যায়। কিন্তু ১৫-১৬ ওভারের পর আর পারছিলাম না। কারণ তখন যদি কোনো একটা ডাইভ বা কোনো কিছু হয়ে যায়, তাহলে বড় বিপদ হতে পারত। আর যেহেতু আমাদের আরও দুজন ভালো কিপার আছে, ওদের একটা সুযোগ দেওয়ার ব্যাপার আছে।”
দল ও ক্রিকেটের প্রতি তার নিবেদেনে প্রশ্ন ওঠেনি কখনোই। সেই সুযোগ সামনেও দিতে চান না মুশফিক। এবারের মতো পরিস্থিতি ভবিষ্যতে হলে, তখনও খেলবেন চোট নিয়েই।
“ক্রিকেট খেলাটাই চ্যালেঞ্জিং। ব্যাটিংয়ে যত রানই করি, ৫০ বা ১০০, প্রতিদিন শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়। কোনো দলই সহজে রান করতে দেবে না। কষ্ট করেই করতে হবে। এটাই আমাদের কাজ, এটার কারণেই আমরা দেশের হয়ে খেলছি। চেষ্টা করব, ভবিষ্যতেও যতটা ম্যানেজ করে খেলতে পারি খেলব। একদমই না পারলে তো অন্য কথা। এখন আপাতত পারছি, চেষ্টা থাকবে শেষ ম্যাচটি কষ্ট করে হলেও খেলে মাঠে থাকার।”