বাঁহাতের কনিষ্ঠায় চোটের কারণে গত কিছু দিন ধরে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন সাকিব। চাইলে এভাবে ইনজেকশন নিয়ে আপাতত খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়। তবে চোট থেকে মুক্তি পেতে হলে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে তার মাঠের বাইরে থাকতে হবে ছয় থেকে আট সপ্তাহ।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাকিব জানান, পুরো ফিট হয়েই তিনি মাঠে নামতে চান। অস্ত্রোপচার করাতে চান যত দ্রুত সম্ভব। সেক্ষেত্রে তাকে এশিয়া কাপে বাইরে থাকতে হবে।
দুপুরে প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে বৈঠক করেন বোর্ড সভাপতি ও বোর্ড পরিচালকেরা। তার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি জানালেন, সাকিবের অস্ত্রোপচারের সম্ভাব্য সময় নিয়ে তার ভাবনা।
“সাকিব আমাকে বলেছিল যে হাতে অপারেশন করাতে হবে। হেড কোচও ওখান থেকে ফোন করেছিল। কারণ যে স্ট্রেংথ ওর দরকার, সেটা পাচ্ছে না ব্যাটিংয়ে। ইনজেকশন নিয়ে খেলছে। কিন্তু অপারেশন হলে অন্তত ছয় সপ্তাহের বিরতি দরকার। এত লম্বা বিরতি পাওয়াটা কঠিন। চেষ্টা করা হচ্ছে যদি কোনো খেলার মাঝখানে করা যায়। আর তা না হলে একটা সিরিজই বাদ দিতে হবে। কিন্তু ওকে ছাড়া খেলা আমরা চিন্তাই করতে পারছি না।”
“এশিয়া কাপের আগেও হতে পারে, পরেও হতে পারে। আজকে কোচের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, ও বলেছে এশিয়া কাপের কথাই। আমি বলেছি, এশিয়া কাপের চেয়ে ভালো হয় আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় করি। নতুন কিছু ক্রিকেটারও দেখতে পারব আমরা। এশিয়া কাপ এমনিতেই এবার কঠিন হবে। তার ওপর সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার না খেললে দলের মনোবল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তার পরও আরও কথা হবে। সাকিবের সঙ্গে কথা বলব। তবে আমার মনে হয়, অন্য সময় করাটাই ভালো হবে।”
গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এই চোট পেয়েছিলন সাকিব। পরে সেই চোট কাটিয়ে ফিরেন মাঠে। কিন্তু ব্যথা ফিরে আসে আবারও। তার কনিষ্ঠার দুটি হাড় একসঙ্গে লেগে যাচ্ছে। ব্যাটিংয়ে তাই দিতে পারছেন না শতভাগ। অপারেশন করে চেছে দিতে হবে বাড়তি হাড়।