জোহানেসবার্গ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বিশাল লক্ষ্য দেওয়ার পথে এগোচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৮৮ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ২২১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা রোববার তৃতীয় দিন শেষ করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৪ রান তুলে। এগিয়ে গেছে তারা ৪০১ রানে।
অস্ট্রেলিয়া দিন শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ১১০ রানে। আগের দিন বল লেগে আঙুলে সূক্ষ্ম চিড় ধরলেও এদিন ব্যাট হাতে নামেন পেইন। কামিন্সকে নিয়ে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হতাশ করেন প্রোটিয়াদের।
সপ্তম উইকেটে দুজনে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। চার ম্যাচের এই সিরিজে এটিই অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় জুটি!
এরপর আর খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ করে পেইন আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। কাগিসো রাবাদার বলে মিড অফ থেকে পেছন দিকে অনেকটা দৌড়ে যে ডাইভিং ক্যাচটি নেন ডিন এলগার, সেটি থাকবে সব সময়ের সেরা ক্যাচগুলোর তালিকায়।
সুযোগ থাকলেও অস্ট্রেলিয়াকে ফলোঅন করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। আধুনিক অধিনায়কেরা ঝুঁকির পথে হাঁটেন কম সময়ই। পাশাপাশি আরেকটি কারণও থাকতে পারে। লাঞ্চের আগেই সাইড স্ট্রেইন নিয়ে মাঠ ছাড়েন শেষ টেস্ট খেলতে নামা মর্নে মর্কেল। হয়ত দলের অন্যতম স্ট্রাইক বোলারকে সুস্থ হওয়ার সময় দিতে চেয়েছেন ফাফ দু প্লেসি।
৩৭ রানে মারক্রামকে ফেরান কামিন্স। সিরিজের অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা পারফরমার এই ফাস্ট বোলার পরে ফিরিয়ে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকেও। মাঝে হাশিম আমলাকে ফেরান নাথান লায়ন। তবে এই পরিক্রমায় প্রোটিয়াদের লিডও বাড়তে থাকে।
এক প্রান্ত আগলে ১৫৮ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত এলগার। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে দু প্লেসি অপরাজিত ৩৪ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি এসেছে প্রায় ২২ ওভারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৮৮
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৭০ ওভারে ২২১ (আগের দিন ১১০/৬) (পেইন ৬২, কামিন্স ৫০, লায়ন ৮, সেয়ার্স ০, হেইজেলউড ১*; ফিল্যান্ডার ৩/৩০, রাবাদা ৩/৫৩, মর্কেল ১/৩৪, মহারাজ ৩/৯২, মারক্রাম ০/০)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৫৬ ওভারে ১৩৪/৩ (মারক্রাম ৩৭, এলগার ৩৯*, আমলা ১৬, ডি ভিলিয়ার্স ৬, দু প্লেসি ৩৪*; হেইজেলউড ০/২০, সেয়ার্স ০/৩৩, লায়ন ১/৪৪, কামিন্স ২/৩৫)।