ফাইনালে বাংলাদেশের যন্ত্রণাময় হারের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। হাতের মুঠো থেকে বাংলাদেশ ফেলে দিয়েছে জয়। শেষ বলে ছক্কায় ভারত জিতে নিয়েছে ট্রফি।
শেষ বলে ছক্কা হজম করা বোলার সৌম্য মাঠেই নুইয়ে পড়েছিলেন। চোখের কোণে চিকচিক করছিল জল। হতাশায় ডুবে ছিলেন দলের অন্যরাও। তবে সংবাদ সম্মেলনের ঝড় সাকিব সামলালেন স্বাভাবিকভাবেই। আরও একটি ফাইনালে কাছে গিয়ে হারের জন্য হতাশা আছে। তার মধ্যেও খুঁজে নিয়েছেন ইতিবাচকতা।
“এখন কি করব? কেঁদে লাভ আছে? আবেগ থাকে, থাকতে পারে। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে আসলে কিছু আর করার নেই। হয়তো শিখতে পারি। পরের বার আবার সুযোগ পেলে হয়তো চেষ্টা করতে পারি। আমরা বেশ কটি ফাইনাল হারলাম এ রকম। বেশিরভাগই ক্লোজ ছিল। সবচেয়ে ক্লোজ হয়েতা এশিয়া কাপেরটা (২০১২ সালে) ছিল, এটা হয়ত আরও ক্লোজ হলো। এভাবেই তো এগোচ্ছি!”
রঙিন পোশাকে দুই সংস্করণে গত ৯ বছরে এই নিয়ে ৫টি ফাইনাল হারল বাংলাদেশ। চারটিতেই বাংলাদেশে হেরেছে কাছে গিয়ে। সবচেয়ে যন্ত্রণার হার ছিল হয়ত ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের হার।
বারবার বড় ম্যাচ হারলে প্রশ্ন জাগে টেম্পারামেন্ট নিয়ে। স্নায়ুর চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে। মানসিকশক্তির ঘাটতি নিয়ে। প্রশ্ন উঠলও। তবে সাকিব তাতে খুব একটা একমত হলেন না। বাংলাদেশ অধিনায়ক বরং দায় দিচ্ছেন ভাগ্যকে।
“এটা কি স্নায়ুর চাপ নাকি ভাগ্য, সেটা বলা মুশকিল। ধরেন, এক ওভারে ৯ রান দরকার ছিল (২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে), খুব বেশি কিন্তু নয়। হয়নি। আবার আজকে শেষ বলে ৫ রান, বেশিরভাগ সময়ই করা যায় না। ১০ বারের মধ্যে হয়ত ৬-৭ বারই বোলার পারবে। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই বোলিং দলের জেতার কথা। স্রেফ হয়নি আজ। এটাকে আমি স্নায়ুর চাপ বলব না। ওদের ব্যাটসম্যান বেশি ভালো খেলেছে। ভাগ্যও ছিল না পক্ষে।”