নাটকের শেষ অঙ্কে হারল বাংলাদেশ

অসাধারণ এক ওভারে বাংলাদেশের দিকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রুবেল হোসেনের ওভার থেকে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান তুলে নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান দিনেশ কার্তিক। নাটকীয় শেষ ওভারে ব্যবধান গড়ে দেন এই কিপার-ব্যাটসম্যানই। সৌম্য সরকারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতে এনে দেন দারুণ জয়। আর আরেকটি ফাইনালে হারের বেদনায় পুড়ল বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2018, 01:02 PM
Updated : 19 March 2018, 05:38 AM

শেষ বলে ছক্কায় জয় কেড়ে নিলেন কার্তিক

দিনেশ কার্তিক যখন ক্রিজে আসেন শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৩৪। ৮ বল খেলে তার ২৯ রান তুলে নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে দুটি করে ছক্কা-চারে ২২ রান তুলে নেন কার্তিক। অনিয়মিত পেসার সৌম্য সরকারের আঁটসাঁট বোলিংয়ে শেষ তিন বলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান।

সৌম্যকে চার হাঁকিয়ে পরের ওভারে ফিরে যান বিজয় শঙ্কর। জয়ের জন্য শেষ বলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ রান। কাভার দিয়ে উড়িয়ে কার্তিক বল আছড়ে ফেলেন সীমানার বাইরে। ভারতের ড্রেসিংরুমে তখন বুনো উল্লাস। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নুইয়ে পড়েছেন আরেকটি স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৬/৮ (তামিম ১৫, লিটন ১১, সাব্বির ৭৭, সৌম্য ১, মুশফিক ৯, মাহমুদউল্লাহ ২১, সাকিব ৭, মিরাজ ১৯*, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ০*; উনাদকাট ২/৩৩, সুন্দর ১/২০, চেহেল ৩/১৮, ঠাকুর ০/৪৫, শঙ্কর ০/৪৮)

ভারত: ২০ ওভারে ১৬৮/৬ (রোহিত ৫৬, ধাওয়ান ১০, রায়না ০, রাহুল ২৪, পান্ডে ২৮, শঙ্কর ১৭, কার্তিক ২৯*, সুন্দর ০*; সাকিব ১/২৮, মিরাজ ০/১৭, রুবেল ২/৩৫, নাজমুল ১/৩২, মুস্তাফিজ ১/২১, সৌম্য ১/৩৩)

ফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী

জাদুকরী মুস্তাফিজ

টুর্নামেন্টটা খুব একটা ভালো কাটছিল না মুস্তাফিজুর রহমানের। উইকেট পাচ্ছিলেন ঠিকই, কিন্তু রান খরচ করছিলেন খুব বেশি। অবশেষে স্বরূপে দেখা গেল বাঁহাতি পেসারকে। নখ কামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচে ১৮তম ওভারটি নিলেন উইকেট-মেডেন।

সেই ওভারে সাকিব আল হাসান যখন তাকে আক্রমণে আনেন তখন জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৩ ওভারে ৩৫।

বিজয় শঙ্করের কাছ থেকে টানা চারটি বল ডট নেন মুস্তাফিজ। পঞ্চম বলে লেগ বাই থেকে আসে একটা রান। শেষ বলে তাকে উড়ানোর চেষ্টায় মনিশ পান্ডে ধরা পড়েন সীমানায়। বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচ তখন অনেকটাই ঘুরে যায় বাংলাদেশের দিকে।

শঙ্করকে ফেরালেন সৌম্য

২ বলে প্রয়োজন ৫ রান। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন বিজয় শঙ্কর। আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্যাচ ধরতে গিয়েছিলেন দুই ফিল্ডার। একজনের হাত থেকে ছুটে গেল দুইবারের চেষ্টায় ক্যাচ মুঠোয় নেন মিরাজ।

পান্ডেকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

কী দুর্দান্ত একটা ওভার করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৮তম ওভারে বোলিং করতে এসে নিলেন উইকেট-মেডেন।

শেষ ৩ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। মুস্তাফিজ টানা চারটি বল ডট নেন বিজয় শঙ্করের কাছ থেকে। পঞ্চম বলে লেগ বাই থেকে আসে একটি রান।

শেষ বলে মুস্তাফিজকে উড়াতে গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন মনিশ পান্ডে। ১৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৩৩/৫।

বিপজ্জনক রোহিতকে ফেরালেন নাজমুল

টানা আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেল বাংলাদেশ। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন রোহিত শর্মা।

বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলকে লং অন দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু স্লগ সুইপ করে সীমানার বাইরে পাঠাতে পারেননি। সীমানায় ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।

৪২ বলে ৫৬ রান করে ফিরে যান রোহিত। অধিনায়কের বিদায়ের ১৩.২ ওভারে ভারতের রান ছিল ৯৮/৪।

রুবেলের দ্বিতীয় শিকার রাহুল

সুরেশ রায়নার পর লোকেশ রাহুলকে ফেরালেন রুবেল হোসেন।

রুবেলের অফ স্টাম্পের বল পুল করতে গিয়ে সীমানায় সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দেন রাহুল। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৪ বলে ফিরেন ২৪ রান করে। তার বিদায়ের ৯.৩ ওভারে ভারতের রান ৮৩/৩।

পাওয়ার প্লেতে ভারত ৫৬/২

পাওয়ার প্লেতে শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার উইকেট হারিয়েছে ভারত। তবে রোহিত শর্মার ব্যাটে দ্রুত এগোচ্ছে তারা।

৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫৬/২।

পাওয়ার প্লেতে ভারত অধিনায়ক ২১ বলে তুলে নেন ৩৯ রান।

রুবেল হোসেন ১ ওভারে ৫ রান দিয়ে তুলে নেন রায়নার উইকেট। নিজের প্রথম ওভারে ৮ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে স্পিনারদের বলে দ্রুত রান তুলে নেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

রিভিউ নিয়ে রায়নাকে ফেরাল বাংলাদেশ

বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছেন রুবেল হোসেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন সুরেশ রায়নাকে।

লেগ স্টাম্পের বাইরের বল রায়নার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আম্পায়ার দেন ওয়াইডের ইশারা।

ক্যাচ গ্লাভসে নিয়েই সাকিব আল  হাসানকে রিভিউ নেওয়ার ইশারা দেন মুশফিক। অধিনায়ক রিভিউ নেন। পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

তিন বলে শূন্য রানে ফিরে যান রায়না। ৩.৩ ওভারে তার বিদায়ের সময় ভারতের স্কোর ৩২/২।

ধাওয়ানকে ফেরালেন সাকিব

তৃতীয় ওভারে আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। ফিরিয়ে দিলেন শিখর ধাওয়ানকে।

সাকিবের সেই ওভারের প্রথম বল সাকিবকে পুল করে উড়িয়েছিলেন ধাওয়ান। চতুর্থ বলে ফিরে যান মিড অনে বদলি ফিল্ডার আরিফুল হককে ক্যাচ দিয়ে।

৭ বলে ১০ রান করে ফিরেন ধাওয়ান। ২.৪ ওভারে তার ফেরার সময়ে ভারতের স্কোর ৩২/১।

বাংলাদেশ ১৬৬/৮

পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনেছেন সাব্বির রহমান। ৫০ বলে খেলেছেন ৭৭ রানের দারুণ এক ইনিংস।

দুই অঙ্কে যেতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। রান আউট হয়ে ফিরেন দুই ব্যাটিং ভরসা মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। শেষে ঝড় তোলা মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ বলে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে।

স্পিনে রান নিতে সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেল ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। অফ স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তিন পেসারের ‌১২ ওভার থেকে থেকে আসে ১২৬ রান।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৬/৮ (তামিম ১৫, লিটন ১১, সাব্বির ৭৭, সৌম্য ১, মুশফিক ৯, মাহমুদউল্লাহ ২১, সাকিব ৭, মিরাজ ১৯*, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ০*; উনাদকাট ২/৩৩, সুন্দর ১/২০, চেহেল ৩/১৮, ঠাকুর ০/৪৫, শঙ্কর ০/৪৮)

উনাদকাটের দ্বিতীয় শিকার রুবেল

গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পেলেন রুবেল হোসেন। তাকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন জয়দেব উনাদকাট।

স্লোয়ার বল একেবারেই বুঝতে পারেননি রুবেল। সজোরে হাঁকাতে চেয়েছিলেন। অনেক আগে শট খেলে হয়ে যান বোল্ড। তার বিদায়ের সময় ১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৮/৮।

৭৭ করে ফিরলেন সাব্বির

দারুণ এক ইনিংস খেলে ফিরলেন সাব্বির রহমান। দ্রুত রান তোলা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিয়েছেন জয়দেব উনাদকাট।

স্লোয়ার বল বুঝতে পারেননি সাব্বির। উড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আগেভাগেই শট খেলে হয়ে যান বোল্ড। ৫০ বলে সাত চার ও চার ছক্কায় ৭৭ রান করে ফিরেন সাব্বির। তার বিদায়ের সময় ১৮.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৭/৬।

সাকিবও রান আউট

সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পর রান আউট হয়ে গেলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

বিজয় শঙ্করের বল কাভারে পাঠিয়েই ছুটেছিলেন সাকিব। রান পূর্ণ করতে পারেননি। দারুণ থ্রোয়ে ফিরে যান রান আউট হয়ে।

৭ বলে ৭ রান করেন সাকিব। ১৬.৫ ওভারে তার বিদায়ে সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৩৩/৬।

সাব্বিরের ফিফটি

ওয়াশিংটন সুন্দরকে ছক্কা হাঁকানো পর নিলেন এক রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ ফিফটি পেয়ে গেলেন সাব্বির রহমান।

৩৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন সাব্বির। এই সময়ে ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হাঁকান পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২০/৫। ক্রিজে সাব্বিরের সঙ্গে সাকিব আল হাসান।

রান আউট মাহমুদউল্লাহ

জমে উঠেছিল সাব্বির রহমান-মাহমুদউল্লাহর জুটি। দ্রুত রান তোলা জুটি ভাঙল মাহমুদউল্লাহর রান আউটে।

বিজয় শঙ্করের স্লোয়ার বল ব্যাটে খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। তিনি তাকিয়ে ছিলেন পিছন দিকে। যতক্ষণে দেখেন ততক্ষণে রান নিতে সাব্বির রহমান চলে আসেন তার প্রান্তে।

উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিক বল ছুড়েন বোলার শঙ্করের দিকে। তিনি প্রথমে ঠিক মতো ধরতে পারেননি। খানিক দ্বিধার পর রান নিতে ছুটেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ততক্ষণে বল কুড়িয়ে দৌড়ে গিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন শঙ্কর।

১৬ বলে ২১ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪.১ ওভারে তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ১০৪/৫।

মাহমুদউল্লাহর এক হাজার

তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের পর বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রান করলেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের রান চার অঙ্কে নিয়ে যেতে লাগল ৬০ ইনিংস।

৯৯৬ রান নিয়ে ফাইনাল শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। চার বল খেলেই ছুঁয়ে ফেলেন মাইলফলক।

চেহেলের তৃতীয় শিকার মুশফিক

নিজের শেষ ওভারে ফিরে আঘাত হানলেন যুজবেন্দ্র চেহেল। ফিরিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিমকে।

লেগ স্পিনারের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেছে নিয়েছিলেন ভুল বল। গুগলি উড়াতে গিয়ে দেন ক্যাচ। ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন বিজয় শঙ্কর।

১২ বলে ৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের সময় ১০.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬৮/৪।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৩ উইকেট

পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। ফিরে গেছেন লিটন দাস, তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪০/৩।

আঁটসাঁট প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারে লিটনকে বিদায় করেন অফ স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। নিজের প্রথম ওভারে তামিম ও সৌম্যর উইকেট তুলে নেন লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেল।

এলেন আর গেলেন সৌম্য

তামিম ইকবালের পর সৌম্য সরকারেকও ফিরিয়ে দিলেন যুজবেন্দ্র চেহেল। লেগ স্পিনার এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বিপদে ফেললেন বাংলাদেশকে।

স্কয়ার লেগ ফিল্ডার বরবর সুইপ করেন সৌম্য। শিখর ধাওয়ান দুই হাতে জমান বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ক্যাচ। ২ বলে ১ রান করে ফিরে যান সৌম্য।

সৌম্য ফেরার সময় ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৩/৩।

তামিমকে ফেরালেন চেহেল
 
নিজের প্রথম ওভারেই আঘাত হানলেন যুজবেন্দ্র চেহেল। ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবালকে।
 
লং অন দিয়ে লেগ স্পিনারকে উড়াতে চেয়েছিলেন তামিম। দুই হাত ওপরে তুলে সীমানায় দারুণ এক ক্যাচ নেন শার্দুল ঠাকুর। সীমানা দড়ির খুব কাছে থাকা ফিল্ডার দারুণ দক্ষতায় ভারসাম্য রক্ষা করে নিশ্চিত করেন তামিমের বিদায়। ১৩ বলে ১৫ রান করে ফিরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

তামিম ফেরার সময় ৪.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৭/২।

সুন্দরকে উড়াতে গিয়ে আউট লিটন
 
প্রথম ওভারে আঁটসাঁট বোলিং করা ওয়াশিংটন সুন্দর আঘাত হানলেন দ্বিতীয় ওভারে। তরুণ অফ স্পিনার ফিরিয়ে দিলেন লিটন দাসকে।
 
অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপ করে উড়াতে চেয়েছিলেন লিটন। ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যাওয়া সহজ ক্যাচ তালুতে জমান সুরেশ রায়না। ৯ বলে এক ছক্কায় ১১ রান করে ফিরেন লিটন।
 
৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭/১।

ভারত দলে সিরাজের জায়গায় উনাদকাট

বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে খেলা ভারত দলে এসেছে একটি পরিবর্তন। সেই ম্যাচে খেলা মোহাম্মদ সিরাজ বাদ পড়েছেন। দলে ফিরেছেন আরেক পেসার জয়দেব উনাদকাট।

ভারত দল: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, সুরেশ রায়না, মনিশ পান্ডে, দিনেশ কার্তিক, ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চেহেল, বিজয় শঙ্কর, শার্দুল ঠাকুর, জয়দেব উনাদকাট।

অপরিবর্তিত বাংলাদেশ দল

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে খেলা দলটির ওপর আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে খেলছে একই একাদশ নিয়ে। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল ইসলাম অপু। পেস আক্রমণে রুবেল হোসেনের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান। 

বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টানা তিন ম্যাচে টস জেতার পর এবার টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি মনে করছেন সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে উইকেট। 

শুরুতে ব্যাটিং করা নিয়ে আপত্তি নেই সাকিব আল হাসানের। তিনি মনে করছেন, দুই ইনিংসেই উইকেট প্রায় একই রকম থাকবে।  প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় স্কোর চাইলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। 

পঞ্চম সুযোগে বাংলাদেশের প্রথম?
 
পঞ্চমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। আগের চারবারই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হারা দলটি উন্মুখ প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে নিতে।
 
দুইবার শ্রীলঙ্কার কাছে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে হারের তেতো স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের কাছে একবার হেরেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। 
 
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির সেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছিল তারা।  
 
এবারের টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচসহ ভারতের বিপক্ষে খেলা সাত টি-টোয়েন্টি খেলে সবকটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। এক সঙ্গে দুই লক্ষ্য পূরণের হাতছানি সাকিব আল হাসানদের সামনে। প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়, সঙ্গে প্রথম শিরোপা।   
 
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।