‘মুশফিক ছাড়া আর কেউ ভালো করতে পারেনি’

আগের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বীরত্বগাঁথার পাশে ছিল অন্যদেরও স্তুতি। এদিন শুধু মুশফিকই আলোকিত, বাকি সব আঁধার। মাহমুদউল্লাহর মতে, ব্যাটিংয়ের এই বাস্তবতাই ভারতের বিপক্ষে গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2018, 06:48 PM
Updated : 14 March 2018, 07:11 PM

এই দুই ম্যাচেই মুশফিক অপরাজিত ৭২ রানে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিলেন জয়ের নায়ক। কারণ লড়াইয়ে পাশে পেয়েছিলেন তামিম-লিটন-সৌম্যদের। ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ করেও মুশফিক পারেননি দলকে জেতাতে। লড়াইয়ে যে এদিন পাশে পাননি সহযোদ্ধাদের।

ম্যাচ শেষে সেই দিকই তুলে ধরলেন মাহমুদউল্লাহ। বোলিংয়ে খানিকটা ঘাটতির কথাও বলছেন অধিনায়ক। তবে মূল দায়টা দিলেন ব্যাটিংকেই।

“আজকে সব মিলিয়ে যদি পারফরম্যান্স দেখেন, বোলিংয়ের শুরু ভালো হয়েছিল প্রথম ৮-১০ ওভার। শেষ দিকে ২-৩টি ওভারে বেশি রান হয়েছে। সেখানে ১০টি রানও কম দিতে পারলে হয়ত বা ভালো হতো। ব্যাটিংয়েও ১৬০ রানের মধ্যে মুশির একাই ৭২। টপ অর্ডারে আরেকজন ভালো করতে পারলে হয়ত ব্যবধান গড়া যেত। সেটি আমরা পারিনি।”

আগের ম্যচে ২১৫ রান তাড়ায় জিতলেও এদিন ১৭৭ রান তাড়ায় ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে উইকেট এদিন আগের মতো ব্যাটিং স্বর্গ ছিল না। একটু শুষ্ক ছিল, খানিকটা ছিল মন্থর, গ্রিপ করেছে বল। তবে সবকিছুর পরও রানটা তাড়া করার মতই ছিল, বলছেন মাহমুদউল্লাহ।

“আমার মতে, ওই রান তাড়া করার মতই ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল আমরা পারব। কিন্তু মুশি ছাড়া আর কেউ ভালো করতে পারেনি। তামিম যদিও দ্রুত রান নিয়ে শুরু করেছিল, কিন্তু আরেকজন যদি দ্রুত ২৫-৩০ রানের ইনিংস খেলতে পারত, তাহলে অন্যরকম হতো।”

বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, এই উইকেটের আদর্শ ব্যাটিং করেছেন রোহিত শর্মা। উইকেট একটু কঠিন বুঝেই সময় নিয়ে ইনিংস গড়ায় মন দিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। শুরু থেকে শেষ বল পর্যন্ত খেলে করেছেন ৮৯ রান।

বাংলাদেশ হেঁটেছে উল্টো পথে। পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও লিটন দাস আউট হয়েছে দ্রুত রানের নেশায়। ভুলটা সেখানেই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ।

“রোহিত শুরুতে সময় নিয়েছে। ইনিংসটি আস্তে আস্তে গড়েছে। খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমরা হয়ত শুরুতে খুব তাড়াহুড়ো করেছি। এই জায়গাগুলোয় উন্নতি করতে হবে আমাদের। আরও পরিষ্কার ভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে।”