দুই দলের প্রথম লড়াইয়ের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোলিংই। বোলিং দিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছিলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট উইকেট নিয়েছিলেন তিনটি। কিপটে বোলিংয়ে এক উইকেট ছিল আরেক পেসার শার্দুল ঠাকুরের।
সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের জয়ের ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা শার্দুল। অন্য দুই পেসারও নেন একটি করে উইকেট।
স্পিনে নিজেদের কাজটা করছেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও যুজবেন্দ্র চেহেল। ১৮ বছর বয়সী অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সুন্দর নতুন বল হাতে আটকে রাখছেন রান। পাশাপাশি উইকেটও নিয়েছেন চারটি। লেগ স্পিনার চেহেল তো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়াকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন।
ভারতের ৫ বোলারই নজর কেড়েছেন বৈচিত্রময় বোলিংয়ে। বিশেষ করে গতির হেরফেরে। স্পিনাররা যেমন ব্যাটসম্যানদের ভোগাচ্ছেন গতি বৈচিত্রে; উনাদকাটের কাটার ও শার্দুলের ‘নাকল বল’ বিভ্রান্তিতে ফেলছে ব্যাটসম্যানদের।
প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে কেবল ১৩৯ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে তাই মাহমুদউল্লাহর ভাবনা ভারতের বোলিং সামলানো নিয়ে।
“ওদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে, যেভাবে তারা বোলিং করছে। ওদের পুরো বোলিং ইউনিটই গতি বৈচিত্র খুব ভালো ভাবে করতে পারছে। শুধু পেসাররা নয়, স্পিনাররাও। ওয়াশিংটন সুন্দর, যুজবেন্দ্র চেহেল প্রায়ই অনেক মন্থর বল করছে, টার্নও করছে বল। পেসাররাও গতির হেরফের খুব ভালো করছে। আমাদের এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।”
বাংলাদেশ অধিনায়ক খুব অখুশি নন বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্সেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খরুচে বোলিংকে অস্বীকার করছেন না। তবে এখনই আঙুল তুলতে চান না। মনে করিয়ে লেন প্রথম ম্যাচের কথা। আশাবাদ জানালেন ভালো কিছুর।
“এখনই বোলারদের দায় দিলে তাদের প্রতি একটু অবিচার হয়ে যায়। প্রথম ম্যাচে ওরা ভালো বোলিং করেছিল। আমাদের যেটা বিশ্বাস জুগিয়েছিল। পরের ম্যাচে স্কিলগুলোর প্রয়োগ ঠিকমতো করতে পারেনি বলে বেশি রান হয়ে গিয়েছিল। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে যতটা কম রান দেওয়া যায়, তত রান কম তাড়া কতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের একটু ভাবতে হবে।”
“আমাদের স্পিনাররা কিন্তু খারাপ করেনি। গত ম্যাচেও মিরাজ ও অপু বোলিং করার সময় রান আটকানো গিয়েছিল কিছু সময়। ২০ বলের মতো মনে হয় বাউন্ডারি হয়নি। আমার স্পিনারদের ওপর আমার ভরসা আছে। তার পরও বোলিং বিভাগকে আরেকটু এগিয়ে আসতে হবে। আশা করি, সেটা তারা পারবে।”