সৈকতের সেঞ্চুরিতে শেখ জামালের জয়

অধিনায়ক ও এবারের লিগের এখনও পর্যন্ত সেরা ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান খেলতে পারলেন না জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ায়। শেখ জামাল জিতল এরপরও। ওপেনার সৈকত আলির সেঞ্চুরিতে দলটি উড়িয়ে দিল লিগে নিজেদের হারিয় খোঁজা গাজী গ্রুপকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2018, 02:37 PM
Updated : 2 March 2018, 02:37 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৯৫ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। মিরপুরে শুক্রবার শেখ জামালের ২৬৫ রানের জবাবে গাজীর দৌড় থামে ১৭০ রানেই।

সপ্তম ম্যাচে শেখ জামালের এটি চতুর্থ জয়। সমান ম্যাচ খেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী হারল পাঁচটিতে।

থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার দুর্নাম সৈকতের সঙ্গী ক্যারিয়ার জুড়েই। এবারের লিগেও টানা চার ম্যাচে তিরিশ ছুঁয়ে একটিতে করতে পেরেছিলেন ফিফটি। সেটিতেও আউট হয়েছিলেন ৫০ রানেই। অবশেষে এবার একটি ইনিংসকে রূপ দিতে পারলেন তিন অঙ্কে। ৭৮টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তার মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

সৈকত ও হাসানুজ্জামান উদ্বোধনী জুটিতে শেখ জামালকে এনে দেন ৮৬ রান। ৬ চার ও ১ ছক্কায় হাসানুজ্জামান করেছেন ৪৫।

দারুণ শুরুর পর হঠাৎই বিপত্তি। ১ রানের মধ্যে শেখ জামাল হারায় ৩ উইকেট। দুই অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান ও ভারতীয় জলজ সাক্সেনা খুলতে পারেননি রানের খাতা।

চাপের মধ্যেই পাঁচে নেমে পাল্টা আক্রমণ চালান সোহাগ গাজী। ৭ চারে ৪০ বলে করেন ৪২ রান। চতুর্থ উইকেটে সৈকতের সঙ্গে জুটি ৭২ রানের।

প্রথম পঞ্চাশ ছুঁতে সৈকতের লেগেছিল ৮১ বল। পরের পঞ্চাশ করে ফেলেন ৩১ বলেই। শেষ পর্যন্ত ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১১৮ বলে করেছেন ১১৬। পঞ্চম উইকেটে ইলিয়াস সানির সঙ্গে জুটি ৫৯ রানের।

নুরুলের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়া সানি করেন ৩৩। শেষ দিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে শেখ জামাল থামে ২৬৫ রানে।

রান তাড়ায় একবারের জন্যও মনে হয়নি জিততে পারে গাজী গ্রুপ। মুখ থুবড়ে পড়ে তারা শুরুতেই। আগের তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি করা ইমরুল কায়েস ছিলেন না জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ায়। বড় দুই ভরসা মুমিনুল হক (১০) ও জহুরুল হক (১) ফেরেন অল্পতেই। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা।

ষষ্ঠ উইকেটে গুরকিরাত সিং ও নাদিফ চৌধুরীর ৫৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ। এই জুটি ভাঙার পর আবারও দলের ভেঙে পড়া। ভারতীয় অলরাউন্ডার গুরকিরাতের ৬৭ রানই কেবল বলার মত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শেখ জামাল: ৫০ ওভারে ২৬৫/৮ (সৈকত ১১৫, হাসানুজ্জামান ৪৫, সাক্সেনা ০, জিয়াউর ০, সোহাগ ৪২, ইলিয়াস সানি ৩৩, তানবীর ৮, কাজি কামরুল ৮, মাহমুদুল ১, রবিউল ১*, সাজেদুল ৬*; কামরুল রাব্বি ২/৬৪, টিপু ০/৩৯, মেহেদি ১/৩৮, আব্দুল্লাহ ০/৮, নাঈম ২/৪৯, গুরকিরাত ১/৫০, আসিফ ০/১৪)।

গাজী গ্রুপ: ৪২.৪ ওভারে ১৭০ (আব্দুল্লাহ ০, মেহেদি ৩৬, মুমিনুল ১০, আসিফ ১৩, জহুরুল ১, গুরকিরাত ৬৭, নাদিফ ২০, জাকের ৯, কামরুল রাব্বি ৪, নাঈম ৫*, টিপু ০; সাজেদুল ২/১৪, সোহাগ ২/৩০, সাক্সেনা ১/২৫, কাজি কামরুল ২/২৯, রবিউল ১/১৯, ইলিয়াস সানি ২/৩৮, তানবীর ০/১১)।

ফল: শেখ জামাল ৯৫ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: সৈকত আলি