টেস্টের দুই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ৩২৭ ও ৪ উইকেটে ২৬৩ রান। একমাত্র ইনিংসে ইংল্যান্ড তুলে ৪৯১। তবে রান সংখ্যায় বোঝা যাবে না উইকেটের আচরণ। উইকেট একদমই ছিল প্রাণহীন। ব্যাটসম্যানের শট খেলা যেমন ছিল না সহজ, তেমনি বোলারদের জন্যও ছিল না তেমন কিছু।
আইসিসির অভিজ্ঞতম ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে তার রিপোর্টে লিখেছেন, “পিচের বাউন্স ছিল মাঝারি। তবে গতি ছিল মন্থর, ম্যাচ যত এগিয়েছে, আরও মন্থর হয়েছে। পাঁচদিনে উইকেটের আচরণ বদলায়নি, প্রকৃতিগতভাবে ক্ষয়ও হয়নি। এজন্যই ব্যাটে-বলে লড়াইয়ের সমতার সুযোগ দেয়নি পিচ। ব্যাটসম্যানদেরও খুব বেশি সহায়তা করেনি, বোলারদেরও উইকেট নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ দেয়নি।”
এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার কোনো আন্তর্জাতিক মাঠের উইকেট ‘নিম্নমানের’ বলে রায় পেল। গত নভেম্বরে মেয়েদের অ্যাশেজের নর্থ সিডনি ওভালের উইকেটকে ‘গড়পড়তা মানের নীচে’ বলেছিল আইসিসি।
গড়পড়তার নিচে রায় পেলে ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় একটি। আর নিম্নমানের উইকেটের জন্য ডিমেরিট পয়েন্ট তিনটি। অনুপযুক্ত রায় পেলে ডিমেরিট পয়েন্ট পাঁচটি।
৫ বছর সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ৫ ডিমেরিন্ট পয়েন্ট পেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবে। ১০ পয়েন্ট পেলে নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের।
নিম্নমানের বলার পাশাপাশি মেলবোর্নের উইকেট নিয়ে কারণ দর্শাও নোটিশও দিয়েছে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়াকে জবাব দিতে হবে ১৪ দিনের মধ্যে।