প্রথম তিন আসরে অধিনায়ক মাশরাফি জিতেছিলেন হ্যাটট্রিক শিরোপা। শুরুর দুবার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স অধিনায়ক হিসেবে। একবছর বিরতির পর টুর্নামেন্ট আবার শুরু হলো ২০১৫ থেকে। সেবার মাশরাফির নেতৃত্বে জিতল নতুন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
২০১৬ আসরে প্রথমবার সঙ্গী ব্যর্থতা। এবার মাশরাফির দল উঠতে পারেনি শেষ চারেও। সেই হতাশাকে উড়িয়ে দিলেন এবার। এবার প্রথম শিরোপা এনে দিলেন আরও একটি দলকে। মাশরাফির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।
ফাইনাল শেষে বিপিএলের সফলতম অধিনায়কের কণ্ঠে থাকল তৃপ্তির রেশ।
“খুব ভালো লাগছে। রংপুরে যখন স্বাক্ষর করি, তখন ওদের প্রত্যাশা ছিল যে দলটা যেন সেমিফাইনাল খেলে। অনেক কষ্ট করে সেমিফাইনাল উঠতে হয়েছে। এতেই উনারা খুশি ছিলেন।”
চার নম্বরে থেকে শেষ চারে উঠেছি আমরা। শেষে থাকলে একটা জিনিস সাহায্য করে যে দুটি সেমি-ফাইনাল খেলতে হয়। সুবিধা ছিল যে আমাদের প্রত্যাশা কম ছিল।”
এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল-শেষের তিন ম্যাচে রংপুর জিতেছে ক্রিস গেইল, জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। মাশরাফি জানালেন, দল তাকিয়ে ছিল তাদের দিকেই।
“আমরা জানতাম আমাদের দুই তিন জন বড় ক্রিকেটার আছে। তারা যদি বিধ্বংসী ব্যাট করতে পারে, তাহলে অন্য দলের জেতা কঠিন। ওরা ওইটাই করেছে। আমরা যা চাচ্ছিলাম তারা সেটাই করেছে।”
অধিনায়ক হিসেবে গোটা দলকে নিজেদের মেলে ধরার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন মাশরাফি। সাফল্যের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন সেটি।
“চতুর্থ দল হিসেবে যখন গ্রুপ পর্ব পার করলাম, একটিই বার্তা ছিল, আমরা যে সুযোগ পেয়েছি, সেটা কাজে লাগাতে হবে। আমরা যেন অলআউট ক্রিকেট খেলি, স্বাধীনতা নিয়ে। যেটা করতে মন চায়, সেটা যেন পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে করি। কোনো দোষাদোষী নেই। দায় চাপানো নেই। কেউ কাউকে দোষ দেয়নি। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”