মঙ্গলবার ঢাকায় এসে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে পাইবাস দেখেন খুলনা টাইটানস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ।
চন্দিকা হাথুরুসিংহের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে প্রথম প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছেন পাইবাস, যিনি ২০১২ সালে সাড়ে চার মাস প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন। সেবার জাতীয় দলকে ইচ্ছামত পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিসিবি দৃঢ় অবস্থানে ছিল, চুক্তির শর্ত মেনেই কাজ করতে হবে পাইবাসকে।
ইংলিংশ কোচ পাইবাসের বিদায় ছিল ধোঁয়াশা পূর্ণ। ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে দাবি করেছিলেন, বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তিই হয়নি। পরে আর স্বপদে ফেরা হয়নি তার।
২০১৩ থেকে চার বছর পাইবাস ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্বে। সেখানেও ছিলেন নানান বিতর্কের কেন্দ্রে।
সেই পাইবাস কেন বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে, তার ব্যাখ্যা দিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান।
“যেহেতু এখন ভালো কোচ পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তাই সংক্ষিপ্ত তালিকায় যে ৩/৪ জন আছে তাদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর প্রেজেন্টেশন দেখব। তারপর বোর্ডের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিব। দেশের ক্রিকেটের জন্য যেটা ভালো হবে সেই সিদ্ধান্তই নিব।”
বিসিবির আরেক পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, হাই প্রোফাইল কোচ হিসেবে তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন পাইবাস।
“তিনি পাকিস্তানের কোচ ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রদেশের কোচ ছিলেন। কোচ হিসেবে এর আগে আমাদের সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের কোচ হিসাবে তিনি বিবেচিত হয়েছিলেন। চলতি বছর ভারত কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও তার নাম ছিল।”
জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিপিএল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রধান কোচ। তিনি মনে করেন, কোচের ব্যাপারে ক্রিকেটাদের মতামত নেওয়া জরুরি।
“(কোচ হিসেবে পাইবাস কেমন হবেন?) সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে যারা জাতীয় দলে খেলে। কাকে কোচ দরকার তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের মতামত নেওয়া খুব বেশি জরুরি। আরও সামনে এগিয়ে যেতে কেমন কোচ দরকার তারাই ভালো বলতে পারবে।”