অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ দলে পেইন-চমক

দল ঘোষণার আগে ছিলেন না আলোচনাতেও। থাকার কথাও নয়। ৯১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন মোটে একটি; সেটিও ১১ বছর আগে। প্রথম পছন্দ নন এমনকি রাজ্য দলেও। সবশেষ দুই মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে কিপিং করতে পেরেছেন মাত্র তিন ম্যাচে। সেই টিম পেইন জায়গা পেয়ে গেলেন অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের অস্ট্রেলিয়া দলে!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2017, 06:57 AM
Updated : 17 Nov 2017, 10:03 AM

পেইনের মত অত বড় না হলেও চমক আছে আরও একটি। টেস্ট ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাময় সূচনা হলেও বাদ পড়েছেন ম্যাট রেনশ। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফট।

দলে উল্লেখযোগ্য বদল আছে আরও একটি। আবারও বাদ পড়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্যারিয়ার জুড়ে শন মার্শের দলে আসা-যাওয়ার পালায় যোগ হয়েছে আরেকটি অধ্যায়। আরও একবার ফিরেছেন দলে।

ম্যাথু ওয়েডের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে উইকেটের পেছনে বদলটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে সেই আলোচনায় পেইন ছিলেন না মোটেও। এগিয়ে ছিলেন পিটার নেভিল, যিনি জায়গা হারিয়েছিলেন ওয়েডের কাছে। তবে শেফিল্ড শিল্ডে এবার খুব সুবিধা করতে পারেননি নেভিলও।

পেইন এর আগে চারটি টেস্ট খেলেছেন ২০১০ সালে। এরপর ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণে মূলত সীমিত ওভারেই বিবেচনা করা হয়েছে তাকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন। তবে টেস্টে ফিরতে পারলেন মূল কিপিং সামর্থ্যের কারণে। অনেকেই মতেই গ্লাভস হাতে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার সেরা তিনি। কোনো কিপারই সেভাবে ফর্মে নেই শেফিল্ড শিল্ডে, সেটিও পক্ষে গেছে পেইনের।

ব্যানক্রফট আগেও টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন। দুবছর আগে বাংলাদেশ সফরের দলে ছিলেন। তবে সেই সফর বাতিল হয়ে যায়। পরে আর সুযোগ পাননি। সেই জায়গায় রেনশ আবির্ভাবেই সাড়া জাগান দারুণ টেকনিক ও টেম্পারামেন্ট দিয়ে।

তবে সবশেষ ৯ ইনিংসে ফিফটি করতে পারেনি রেনশ। তার পরও তার আশা ছিল। কিন্তু অ্যাশেজ দলে জায়গা নিয়ে দুজনকে আলাদা করে দিয়েছে মূলত শেফিল্ড শিল্ডের ফর্ম। ৬ ইনিংসে মাত্র ৭০ রান করেছেন রেনশ।

ব্যানক্রফটের ব্যাটে সেখানে রানের বন্যা। দল ঘোষণার আগের ম্যাচে করেছেন অপরাজিত ২২৮। তার আগের ম্যাচে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে আদ্যন্ত ব্যাট করে অপরাজিত ছিলেন ৭৬ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৮৬। প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণে ছিলেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জশ হেইজেলউড ও নাথান লায়ন, যেটি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট আক্রমণ। এই পারফরম্যান্সই পক্ষে গেছে তার।

মার্শের দলে ফেরার পক্ষে কণ্ঠ দারুণ সোচ্চার ছিল সাবেক অস্ট্রেলিয়া ওপেনার ও তার রাজ্য দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। তার মতে, জীবনের সেরা ফর্মে আছেন মার্শ। যদিও শেফিল্ড শিল্ডে গড় তার চল্লিশের নিচে। তার আগে ওয়ানডে টুর্নামেন্টে অবশ্য দারুণ ফর্মে ছিলেন।

মার্শের চেয়ে শেফিল্ড শিল্ডে গড় একটু ভালো ম্যাক্সওয়েলের। তার পরও বাদ পড়লেন। অতিরিক্ত পেসার হিসেবে জ্যাকসন বার্ডের সঙ্গে আছেন চ্যাড সেয়ার্স।

অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শুরু আগামী বৃহস্পতিবার থেকে, ব্রিজবেনে।

টেস্টের অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া দল: স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার (সহ অধিনায়ক), ক্যামেরন ব্যানক্রফট, উসমান খাওয়াজা, পিটার হ্যান্ডসকম, শন মার্শ, টিম পেইন, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, জশ হেইজেলউড, জ্যাকসন বার্ড, চ্যাড সেয়ার্স।