দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। তার চেয়েও বড় কথা, সামান্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি একটি ম্যাচেও।
দলের বাজে পারফরম্যান্সের একটা বড় কারণ তামিমকে না পাওয়াও। চোটের কারণে স্রেফ একট টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেই শেষ হয়ে গেছে তামিমের সফর। দেশ ফিরে এখন তিনি পুনর্বাসন শুরুর অপেক্ষায়।
এমনিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে ধুঁকতে হয় উপমহাদেশের সব দলকেই। এমনকি অস্ট্রেলিয়াও এবছর ওয়ানডে সিরিজ হেরে ফিরেছে ৫-০ ব্যবধানে। তবে কন্ডিশনকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না তামিম।
“কন্ডিশন কঠিন, এটা আমরা সবাই জানতাম। কিন্ত কন্ডিশনকে দোষ দিয়ে বা আমরা ওখানে অনেক দিন যাইনি, এটা অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। আমার কাছে মনে হয় ব্যক্তিগতভাবে ও দল হিসেবে আমরা যতটা সক্ষম, ততটা খেলেতে পারিনি।”
“কন্ডিশন একটু ভিন্ন, একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল অবশ্যই। কিন্ত আমরা এর চেয়ে ভাল পারফর্ম করতে পারতাম।”
তামিমের দাবি, ভুল বা ঘাটতির জায়গাগুলো দলের সবাই বুঝতে পেরেছেন।
“আমরা সবাই জানি, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ পারফর্ম করতে পারিনি। আমাদের জন্য বড় শিক্ষণীয় সফর ছিল। আমাদের ঘাটতি যা ছিল, আমি নিশ্চিত যে, ব্যাটসম্যান বা বোলার বলেন, কিংবা দল হিসেবে, সবাই কম-বেশি সবাই বুঝতে পেরেছি।”
“আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ যেটা মনে হয়, এই যে একটা বাজে সফর হলো বা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলেতে পারিনি, এটি ভুলে গেলে হবে না। এই জিনিস মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।”
ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার জন্যই দুঃস্বপ্নের এই সফরকে ভুলতে চান না তামিম। টেস্ট সহ-অধিনায়কের মতে, ভুলগুলি মাথায় রেখে পরিকল্পনা মতো এগোলোই মিলবে সাফল্যের পথ।
“এটিকে বাজে সফর হিসেবে চিন্তা করে যদি ভুলে যাই, তাহলে কিন্তু আমরা উন্নতি করব না। এখানে কী ঘাটতি ছিল, সেসব খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেটার ওপর পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।”
“২০১৯ বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে হবে। সেখানে খেলাও কঠিন আমাদের জন্য। এই সব কিছু মাথায় রেখে এগোতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বলেন বা দল হিসেবে, যেসব সমস্যা আমরা অনুভব করেছি দক্ষিণ আফ্রিকায়, যেখানে উন্নতি করা দরকার, তা করতে হবে। যদি তা না করি, তাহলে দল এগোবে না।”