দক্ষিণ আফ্রিকায় সব মিলিয়ে ১১ ওয়ানডে খেলে ১০টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। মাশরাফি মনে করেন এবার জয় সম্ভব। তার জন্য কেমন ক্রিকেট খেলতে হবে বললেন সে কথাও।
“দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলার প্রশ্নই উঠে না। যদি এমন ভাবনা থাকে, নিজেদের দিনে আমরা ওদের হারাতে পারব, আমার মনে হয় তাহলে আমরা সুযোগই পাব না। ব্যাটিং-বোলিং যাই করি এখান থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র পথ হচ্ছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা।”
উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য কঠিনতম সফর দক্ষিণ আফ্রিকা। এখানে ভালো করতে স্বাগতিকদের শুরু থেকে চাপে রাখার কোনো বিকল্প দেখেন না অধিনায়ক।
“উপমহাদেশের সব দলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন জায়গা। আমরা এখান থেকে বের হতে পারি একমাত্র আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে।”
চলতি বছর নিউ জিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা সফর করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে খেলেছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ইংল্যান্ডে খেলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। একমাত্র নিউ জিল্যান্ডেই জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। তবে সেই সফরের চেয়েও এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে বেশি কঠিন মনে করেন মাশরাফি।
“দেশে মোটামুটি সাফল্য পাওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর ছিল নিউ জিল্যান্ডে। আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এরপর শ্রীলঙ্কা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্স করেছি। আমার মনে হয়, এই বছরের সবচেয়ে কঠিন সফর- এই মুহূর্তে আমরা যেটা করছি।”
টেস্টের দুটি বাজে হার বাংলাদেশকে একটু পিছিয়ে রেখেছে। তবে খোলা মন নিয়ে মাঠে নামলে ওয়ানডেতে ভালো না করার কোনো কারণ দেখেন না অধিনায়ক।
“সবার একটু দ্বিধায় থাকা স্বাভাবিক। তবে এটা চিন্তা করে খেলতে নামলে, খেলাটা আরও কঠিন হয়ে যাবে। আমি মনে ভালো করি, যদি আগের সব ভুলে গিয়ে নতুন উদ্যম নিয়ে যদি শতভাগ দিয়ে ওদের সঙ্গে লড়তে পারি তাহলে যে কোনো কিছুই হতে পারে।”